দেশ ব্রেকিং নিউজ

ভোটের হিরো সেই পিকে

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুর্সি অটুট রাখলেন। আর নির্বাচন প্রক্রিয়ার আগে বিজেপি সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী হুবহু মিলিয়ে দিয়ে প্রমাণ করলেন তিনিই হিরো। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। গত লোকসভা ভোটে তলানিতে চলে যাওয়া তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক পুনরুদ্ধার করলেন আগামী পাঁচ বছরের জন্য। সেইসঙ্গে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে লড়ার জন্য তৃণমূল নেত্রীর ‘ফাইটার’ ইমেজ আরও শক্তিশালী করে দিলেন ‘পিকে’।
দুর্নীতির অভিযোগে যখন জেরবার তৃণমূল শিবির, তখনই দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলার দায়িত্ব নিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের সাফল্যকে পুঁজি করে গেরুয়া শিবির যখন ঘুঁটি সাজাচ্ছে, তখন একের পর এক স্লোগান, সরকারি প্রকল্পের পরামর্শ দিয়ে তিনি দাবার পাল্টা চাল দেন। দিদিকে বলো, দুয়ারে সরকার, পাড়ায় সমাধান, বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়…। আর তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী মেনে ‘ডবল ডিজিটে’ই আটকে গেল মোদী–শাহের অশ্বমেধের ঘোড়া।
প্রশান্তের কথায়, কমিশন আমাদের প্রচার অভিযানকে কঠিন লড়াইয়ের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল। নির্বাচন কমিশনকে বিজেপির ‘বর্ধিত সংস্করণ’ বলেও তোপ দেগেছেন তিনি। তবে, বিজেপি যে রাজ্যে মেরুকরণ করতে সক্ষম হয়েছে, তা প্রশান্ত মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘গোটা বাংলাজুড়ে ব্যাপক মেরুকরণ হয়েছে। কমিশনের উচিত ছিল মেরুকরণ যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করা। কিন্তু, ওরা মুখ বন্ধ রেখে কিছু করেনি। আমি কোনও রাজ্যে এই ধরনের মেরুকরণ দেখিনি। গোটা প্রচার পর্বজুড়ে জয় শ্রীরামের যে স্লোগান উঠেছিল, তা একথায় অভাবনীয়।’