দেশ ব্রেকিং নিউজ

দ্বিতীয়বার কেরলে ক্ষমতায় সিপিএম

প্রথা ভেঙে কেরলে টানা দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরছে সিপিএম তথা এলডিএফ জোট। অন্তত রবিবার রাত পর্যন্ত কেরলের যে ‘প্রবণতা’ সামনে এসেছে তাতে স্পষ্ট, ওই দক্ষিণী রাজ্যে দ্বিতীয়বারের জন্য সরকার গড়তে চলেছে সিপিএম তথা এলডিএফ জোট। গত চল্লিশ বছরে কোনও দল বা জোটই পরপর দু’‌বার ক্ষমতায় আসেনি। এবার পালাবদলের সেই ট্র্যাডিশনই ভাঙতে চলেছে রাজ্যের ক্ষমতাসীন বামজোট। অন্যদিকে, প্রশ্ন উঠছে, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস এবং আইএসএফের সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়াই কি সিপিএমের মুখ থুবড়ে পড়ার কারণ?
সিপিএমের অন্দরের খবর, বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস এবং আইএসএফের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার জন্য এবার দলের কট্টরপন্থী নেতাদের তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়তে চলেছে সিপিএমের বঙ্গ ব্রিগেড। রবিবার সন্ধ্যায় বিবৃতি জারি করে সিপিএম পলিটব্যুরোর পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, ‘পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিপর্যয় ঘটেছে। বাংলার মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছেন, সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের রাজনীতিকে তাঁরা বর্জন করেছেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে সংযুক্ত মোর্চা ও বামেদের যে ফলাফল হয়েছে, তা অত্যন্ত হতাশাজনক। এবার অন্তত শিক্ষা নেওয়া জরুরি। দল অবশ্যই ফলাফলের বিশ্লেষণ করবে।’
আর কেরলে জয় প্রায় নিশ্চিত। সম্পূর্ণ ফলঘোষণাই যা বাকি! ১৪০টি আসনের ভোটে এমনটাই যে হতে চলেছে, তার ইঙ্গিত অবশ্য ছিল বেশিরভাগ বুথফেরত সমীক্ষাতেই। ম্যাজিক ফিগার ৭১। রবিবার রাত পর্যন্ত পাওয়া খবর বলছে, ৯৯টি আসনে হয় জিতেছে, না হয় এগিয়ে লেফট ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট। একইসঙ্গে কেরল নিয়ে সিপিএম পলিটব্যুরো জানিয়েছে, ‘রাজ্যের মানুষ উন্নয়নের দিকেই ভোট দিয়েছেন।’ ভিডিও বার্তায় অভিনন্দন জানিয়েছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। কেরলে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর শাসক দলের পরিবর্তনই দস্তুর।
এবার এমনিতেই কেরলে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফের দিকে পাল্লা ভারী ছিল। তার সঙ্গে সঙ্গত করেছিল কেরলের সোনা পাচার কেলেঙ্কারির মতো ঘটনা। যার জেরে রীতিমতো কোণঠাসা হতে হয়েছে কেরলের শাসকদল সিপিএমকে। কিন্তু এদিন ফলাফলে স্পষ্ট, অতীত রেকর্ড বা কেলেঙ্কারির ঘটনা এলডিএফকে সমস্যায় ফেলেনি। দলের অন্দরের খবর, দ্বিতীয়বারের জন্য কেরলের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন পিনারাই বিজয়নই। এদিন বিজয়ন বলেছেন, ‘বিজেপির শীর্ষ নেতারা দাবি করেছিলেন, তারা রাজ্যে সরকার গড়বে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং অন্যান্য রাজ্যের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীরা কেরলে প্রচার করেছেন। তখনই বলেছিলাম, এই ভোটে তাঁদের অনেকের কারেন্ট অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে।’