রাজ্য লিড নিউজ

ভাঙড়ে সহজে খেজুরের রস পাবে না নওশাদ: তৃণমূল নেতা শাহজাহান মোল্লা

মনোনয়নের শেষ দিনেও নিস্তার নেই। দিকে দিকে অশান্তি অব্যাহত। গতকালের পর আজও উত্তপ্ত ভাঙড়, তপ্ত ক্যানিং, মুর্শিদাবাদ। আর সব কিছুকে ছাপিয়ে গেল চোপড়া। সিপিএম – কংগ্রেস জোট প্রার্থীদের মনোনয়ন ঘিরে চোপড়ায় চলল গুলি, বোমাবাজি। গুলিবিদ্ধ হয়ে জখম ২ জোট প্রার্থী।

অন্যদিকে মনোনয়ন ঘিরে ভাঙড়ে অবৈধ জমায়েত, বোমাবাজির অভিযোগ। একদিকে ভাঙড় ২ বিডিও অফিসের সামনে গন্ডগোল, অপরদিকে বিজয়গঞ্জ বাজারে সিপিএম প্রার্থী গিয়াসউদ্দিন মোল্লাকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। একইসাথে মনোনয়নের সমস্ত নথি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। এসবের মাঝে তৃণমূল নেতা শাহজাহান মোল্লার সাফাই, “ভাঙড়ে সহজে খেজুরের রস পাবে না নওশাদ।” এদিকে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের লাঠি-বাঁশ নিয়ে মনোনয়ন ও জমায়েত প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদের বক্তব্য, আত্মরক্ষার্থে কর্মী-সমর্থকদের হাতে লাঠি-বাঁশ রেখেছেন।

বুধবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন কালে ভাঙড়ে তুমুল বোমাবাজি, সংঘর্ষ হয়। বুধবার বেলা সওয়া তিনটে নাগাদ দেখা যায় ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছে যান নবান্নে। কিন্তু দেখা হয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে।

জানা গিয়েছে, নবান্নে যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে ইমেল করেন নওশাদ। কিন্তু কোনও উত্তর না পাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকে সামনাসামনি জানাতে চেয়েছিলেন।

নবান্ন থেকে বেরিয়ে নওশাদ বলেন, ‘সকাল থেকে আরাবুল ইসলাম, শওকত মোল্লারা গন্ডগোল করেছেন। আমি রাজ্যের অভিভাবিকাকে জানাতে এসেছিলাম। নির্বাচন কমিশন ভোট পরিচালনা করছে ঠিকই। কিন্তু তাদের ভরসা পুলিশ। তাই আমি পুলিশের বসকেই বলতে এসেছিলাম ভাঙড়ের কথা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর হয়তো ব্যস্ততা রয়েছে। তাই তিনি আমায় সময় দিতে পারেননি।’