রীতিমতো লঙ্কাকাণ্ড বেঁধে গিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায়। দীর্ঘদিন ধরে অর্থনৈতিক সংকট চলছিল শ্রীলঙ্কায়। সোমবার ধ্বংসাত্মক শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মহিন্দ রাজাপক্ষ পদত্যাগ করে। আর তার পর থেকে আগুন জ্বলছে শ্রীলঙ্কায়। সেই ঘটনার পরেই শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মহিন্দ রাজাপক্ষের পৈতৃক বাড়ি পুড়িয়ে দিল সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীরা।
কলম্বো থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে রাজাপক্ষের পারিবারিক আদি বাড়িতে সোমবার আগুন লাগিয়ে দেয় উন্মত্ত জনতা।শুধু তাই নয়, তিন প্রাক্তন মন্ত্রী ও দুই সাংসদের বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় । এমনকি, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়। জানা গিয়েছে, সাংসদ আথুকোরালার গাড়ির সামনে উন্মত্ত জনতা তেড়ে আসায় প্রাণে বাঁচতে নিজেই বন্দুক থেকে গুলি চালিয়ে দেন সাংসদ, তাতে আহত হন কয়েকজন। প্রশাসনিক সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, তিনি নাকি প্রাণে বাঁচতে শেষ পর্যন্ত কাছের একটি বাড়িতে আশ্রয় নিতে চেয়েছিলেন।কিন্তু পরে তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার থেকেই সরকার বিরোধী আন্দোলনে আমজনতার সঙ্গে যোগ দেয় সরকারি পরিবহণকর্মী এবং রেলকর্মীরা। মূলত তারাই আন্দোলনে সামিল হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেখানকার প্রশাসনিক যাবতীয় ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয় সেনাবাহিনীর হাতে। কিন্তু এত কিছুর পরেও আমজনতাকে দমানো যায়নি। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের দাবি সোমবার প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের পরেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আন্দোলনকারীরা আরও হিংস্র হয়ে ওঠে। যদিও এই ঘটনার জন্য ওই দেশের সরকারকেই দোষারোপ করছে ওয়াকিবহাল মহল।