দেশ ব্রেকিং নিউজ

গ্যাংস্টার বিধায়কের বাড়ি ধূলিসাৎ

বিধায়ক হলে কী অপরাধ করা যায়?‌ অপরাধ করে কী ছাড় পাওয়া যায়?‌ গোটা দেশে এখন এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যার উত্তর সবসময় ছাড় পাওয়া যায় না। এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল দেশ। একদা গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিবিদ, হয়েছিলেন তিনি। কৃষ্ণেন্দু রাই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত তিনি। জেল খেটেছেন ১৩ বছর। হ্যাঁ, তিনি বিধায়ক মুখতার আনসারি। এবার তাঁর দালিবাগ এলাকার দুটি অবৈধ বাড়ি ভেঙে ধুলোয় মিশিয়ে দিল যোগী প্রশাসন। ফলে ছাড় পাওয়া গেল না।
শুক্রবার টুইট করে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মিডিয়া উপদেষ্টা মৃত্যুঞ্জয় কুমার লিখেছেন, গ্যাংস্টার মুখতার আনসারির অবৈধ সম্পত্তি ভেঙে দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। অপরাধীরা হয় অপরাধ ছাড়বে তা না হলে এই ধরনের কড়া সিদ্ধান্তের জন্য প্রস্তুত থাকবে। এই টুইটটি করার উদ্দেশ্য দুটি। এক, মুখতার আনসারিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া। দুই, সরকারের প্রচার এবং তারা কাজ করছে এই বার্তা দেওয়া।
এদিন সরকারি মুখপাত্র জানান, বাড়িগুলি তৈরি হয়েছিল পাকিস্তান চলে যাওয়া ব্যক্তিদের ছেড়ে যাওয়া সম্পত্তিতে। তাই বাড়ি ভাঙার টাকা সংগ্রহ করা হবে এবং একটি মামলা দায়ের হবে। তবে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, লখনউ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এই বাড়ির ম্যাপে অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাহলে অনুমতি ছাড়াই বেআইনি বাড়ি নির্মাণ হয়ে গেল?‌ কেউ কিছু বলল না?‌ উঠছে প্রশ্ন।
জানা গিয়েছে, এখনও মৌ বিধানসভার বিধায়ক মুখতার। বহুজন সমাজ পার্টির টিকিটে পাঁচবারের বিধায়ক তিনি। কয়েকদিন আগেই মুখতারের সঙ্গীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। বাতিল করা হয়েছিল তাঁর গাজীপুরের সঙ্গীদের অস্ত্রের লাইসেন্সও। অর্থাৎ এখানে আগের সরকারকে দায়ী করা হয়েছে গোটা ঘটনার জন্য। মায়াবতী সরকারের বিরুদ্ধেই এই বেআইনি বাড়ি তৈরির অভিযোগ তোলা হয়েছে। তবে বিএসপি’‌র বিধায়কের এই বাড়ি ভেঙে ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়ায় চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

ছবি—পিটিআই।