পরপর তেলের খনির হদিশ। অসমের ডিগবয়ের মতো তেল শহর হতে চলেছে উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা! এমনই সুখবর মিলেছে ওএনজিসির একাধিক পরীক্ষায়। বাইগাছির পর এবার আমডাঙা, বনগাঁ এবং অশোকনগরে নতুন করে তিনটি জায়গায় তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। সেখানে দ্রুত কুয়ো খনন করে তেল ও গ্যাসের সঠিক পরিমাপ বুঝতে চাইছেন ওএনজিসির আধিকারিকরা। এখন আলোচনা চালানো হচ্ছে জমি মালিকদের সঙ্গে। তিন জায়গায় জমি অধিগ্রহণের অনুমোদন চেয়ে রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে ওএনজিসি। আধিকারিকদের দাবি, অশোকনগরের বাইগাছির মতো এই তিন জায়গাতেও তেল ও গ্যাসের বাণিজ্যিক উৎপাদনের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বনগাঁ ও বারাসত মহকুমার চেহারা রাতারাতি বদলে যাবে। অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানে নতুন দিশা পাবে বাংলা।
গত বছর ২২ ডিসেম্বর অশোকনগরের বাইগাছিতে বাণিজ্যিকভাবে তেল ও গ্যাস উৎপাদনের সূচনা করেছিলেন কেন্দ্রীয় পেট্রলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। ওএনজিসি সূত্রে খবর, সেখানে কুয়ো পিছু দৈনিক ১ লক্ষ ঘনমিটার গ্যাস এবং ১৫ থেকে ১৮ ঘনমিটার তেল উৎপাদন সম্ভব। বর্তমানে দ্রুত গতিতে সেখানে উৎপাদন বৃদ্ধির কাজ চলছে। পাশাপাশি, জেলার বিভিন্ন প্রান্তে চলছিল তেল ও গ্যাসের ভাণ্ডারের খোঁজ। এর মধ্যে অশোকনগরের ভুরকুণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের দৌলতপুর মৌজায় তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। প্রায় ২০ জন জমি মালিকের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা চালিয়ে জমির দামও চূড়ান্ত। ওএনজিসিকে এব্যাপারে ‘এনওসি’ দিয়েছেন মালিকরা। জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন। তার জন্য আবেদন জানিয়েছে ওএনজিসি।
বনগাঁর মাঝেরগ্রাম স্টেশন লাগোয়া কামদেবপুর এবং আমডাঙার রায়পুর মৌজাতেও তেল ও গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। কামদেবপুরে ‘ড্রিল সাইট’ গড়তে আট একর জমি প্রয়োজন। রায়পুরে ‘ড্রিল সাইট’ গড়ার জমি চিহ্নিতকরণের কাজও সম্পূর্ণ। প্রায় সাড়ে সাত একর।