শিক্ষাক্ষেত্র থেকে এবার হাত গুটিয়ে নিতে চলেছে রাজ্য সরকার।বেসরকারি বিনিয়োগকে স্বাগত জানিয়ে সরকারি শিক্ষাঙ্গনের জমি, বিল্ডিং সহ অন্যান্য পরিকাঠামো তুলে দেওয়া হবে। পিপিপি মডেলে রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রকে কীভাবে তুলে দেওয়া হবে তার জন্য খসড়া নীতি তৈরি করেছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর।
সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিবের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দরের পাশাপাশি এরাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে আদানি গোষ্ঠীর বিনিয়োগ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ঘটনা হলো, ২০০৩সাল থেকে আদানি গোষ্ঠী শিক্ষাক্ষেত্রে প্রবেশ করে। ‘আদানি বিদ্যা মন্দির’ শিক্ষাক্ষেত্রে আদানি গোষ্ঠীর নয়া বিনিয়োগের ক্ষেত্র। আদানিদের হাতে রাজ্যের সরকারি শিক্ষাঙ্গনকে উন্মুক্ত করে দেওয়ার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে রাজ্য।
খসড়া নীতিতে স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাজ্য সরকার বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের হাতে তুলে দেবে জমি, বাড়ি। যার মূল উদ্দেশ্য হিসাবে স্পষ্টতই বলে দেওয়া হয়েছে, বেসরকারি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পিপিপি মডেলে স্কুল তৈরির জন্য সরকারের তরফে প্রস্তাব আসার পর বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা তাতে অংশগ্রহণ করবে। কাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে সরকারি স্কুলের জমি ও বাড়ি তা ঠিক করার সময় বিনিয়োগে আগ্রহী সংস্থার শিক্ষাজগতে কাজের গুণগত মান ও আর্থিক ক্ষমতা বিচার করবে সরকার। ৮০শতাংশ প্রযুক্তিগত দিকের সঙ্গে ২০শতাংশ আর্থিক সক্ষমতা থাকলেই সরকারি সম্পত্তি তুলে দেওয়া হবে বেসরকারি হাতে।
সরকারের তরফে জানান হয়েছে, স্কুল শিক্ষা দপ্তরের অধীনে থাকা অব্যবহৃত পরিকাঠামোকে ব্যবহার করে রাজ্যে পিপিপি মডেলে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করে বিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে।
করোনা আবহ কাটিয়ে দু’বছর পর রাজ্যে ফের চালু হয়েছে স্কুল।উদ্বেগজনকভাবে বাড়বে স্কুলছুটের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে সরকারের আরও উদ্যোগী হওয়ার কথা। কিন্তু তা না করে রাজ্যের স্কুলকে বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের হাতে তুলে দিতে চলেছে সরকার।