ব্রেকিং নিউজ রাজ্য

বাপের বাড়ি ছুটি কাটাতে এসে ফেরা হল না নবদম্পতির

সবেবরাতের ছুটি কাটাতে স্বামীকে নিয়ে বাপের বাড়ি এসেছিলেন নবদম্পতি। কিন্তু আর শ্বশুর বাড়ি ফেরা হল না। বাপের বাড়িতেই আর পাঁচজনের সঙ্গে জীবন্ত অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় নবদম্পতির। এই ঘটনায় রামপুরহাট থানার বগটুই গ্রামের পাশাপাশি শোকের ছায়া নেমে এসেছে নানুরেও।

জানা গিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বগটুই গ্রামের মিজারুল শেখের মেয়ে লিলি খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয় নানুরের কাজি নুরুল জামালের ছেলে কাজি সাজিদুর রহমানের। সোমবার লিলি স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে বগটুই গ্রামে বাপের বাড়িতে ঘুরতে আসে। বাড়িতে ফোন করে জানায় তারা পৌঁছে গিয়েছে। এরপর রাতে ঘটে সেই ভয়ানক ঘটনা।

ওই পাকা বাড়ির মধ্যেই পুড়িয়ে মারা হয়েছে মিনা বিবি (৩৫) ও তাঁর শিশু সন্তানকে। হত্যালীলা চালানো মিজারুল শেখের বাড়ির পাশেই থাকত মিনা। স্বামী ফটিক শেখের সঙ্গে নিহত উপ প্রধান ভাদু শেখের সম্পর্ক ভাল ছিল না। ঘটনার পরেই ফটিক শেখ পলাতক। ফলে কুঁড়ে ঘরে ছিল স্ত্রী এবং শিশু সন্তান। দুজনকেই মিজারুলের বাড়ির ভিতর ঢুকিয়ে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে বলে গ্রাম সূত্রে খবর।

লিলির শ্বশুর কাজি নুরুল জামাল বলেন, “মঙ্গলবার সকালে পুড়িয়ে মারার খবর পায়। আমি চাই যারা আমারা ছেলে বউমাকে খুন করছে তাদের ফাঁসি দেওয়া হোক’।

এই হত্যালীলার ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের এই তত্‍পরতার পরেই সন্ধ্যা হতেই ভাদু শেখের স্ত্রী, ভাই সহ পাঁচটি পরিবার সমস্ত কিছু গুটিয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। বিরোধীরা অভিযোগ করেছে তৃণমূলের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনের নেতৃত্বেই হত্যালীলা চলেছে। তবে এই হত্যালীলার ঘটনায় মুখ খুলতে চায়নি পুলিশ।