আবারও বিষাদের সুর! চলে গেলেন আবদুল গাফফার চৌধুরী। লন্ডনে চিকিত্সাধীন ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তিনি শুধুমাত্র একজন গীতিকার আবারও বিষাদের সুর! চলে গেলেন আবদুল গাফফার চৌধুরী। লন্ডনে চিকিত্সাধীন ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তিনি শুধুমাত্র একজন গীতিকার ছিলেন না, ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট এবং সাহিত্যিক।
১৯৩৪ সালের ডিসেম্বর মাসের ১২ তারিখ বরিশালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন আবদুল গাফফার চৌধুরী। মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়ার চৌধুরী বাড়ির সন্তান ছিলেন তিনি। নিজের কর্মজীবন শুরু করেছিলেন একজন সাংবাদিক হিসেবে, তখন তিনি কাজ করতেন ‘দৈনিক ইনসাফ’ পত্রিকায়। তার ঠিক এক বছর পর তিনি ‘দৈনিক সংবাদ’- এ অনুবাদক হিসেবে যুক্ত হন । এছাড়াও তিনি বহু সংখ্যক পত্রিকায় কাজ করেছেন । বিভিন্ন গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ পদে তিনি সাংবাদিক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। শুধুমাত্র বাংলাদেশে নয়, কলকাতায় যুগান্তর এবং আনন্দবাজার পত্রিকায় কাজ করেছেন কলামিস্ট হিসেবে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সপরিবারে কলকাতায় চলে এসেছিলেন। তখনই কলকাতায় বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখির কাজে যুক্ত হন । এছাড়াও পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে নিজের উদ্যোগে বের করেন দৈনিক জনপদ।
তিনি তাঁর জীবনের অনেকটা সময় প্রবাসে কাটিয়েছেন।১৯৭৪ সালে পাড়ি দিয়েছিলেন লন্ডনে । ১৯৭৩ সালে তিনি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলজিয়ার্সে গিয়েছিলেন, সেখানে যোগ দেন জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে। বহুমুখী প্রতিভা এবং কাজের জন্য বহু পুরস্কারে সম্মানিত তিনি। একুশে পদক, বঙ্গবন্ধু পদক, শেরেবাংলা পদক, বাংলা একাডেমি পদক ছাড়াও পেয়েছিলেন ইউনেস্কো পুরস্কার।