জেলা ব্রেকিং নিউজ

ট্যাঙ্কার ধর্মঘটে জ্বালানি তেলে কোপ

পরিবহণ খরচ কমিয়ে দেওয়া এবং বেশ কিছু চুক্তিভুক্ত গাড়িকে বসিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে পেট্রোল, ডিজেল সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তেল ট্যঙ্কারগুলি। ট্যাঙ্কার মালিকদের সংগঠন এই ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেয়। দাবি পূরণ না হলে এই ধর্মঘট অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। ফলে কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে পেট্রোল, ডিজেলের আকাল দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা। এই কারণে হাওড়ার মৌড়িগ্রামে ইন্ডিয়ান অয়েলের ডিপোতে ট্যাঙ্কার ভরানোর কাজ (রিফিলিং) বন্ধ থাকে। ফলে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন তেল পাম্পগুলি ক্রমে তেলশূন্য হতে শুরু করে।

হাওড়া, কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং নদীয়ার একাংশে এদিন সকাল থেকে বন্ধ হয়ে যায় ট্যাঙ্কারে তেল সরবরাহ। ফলে আগে থেকে মজুত থাকা তেলে যতক্ষণ চালানো যায়, ততক্ষণই পরিষেবা মিলেছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাঙ্কার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইন্ডিয়ান অয়েল যে টেন্ডার ডাকে, তাতে গাড়ির পরিবহণ খরচ অস্বাভাবিক হারে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তা নজরে আসতেই প্রতিবাদে সরব হয় সংগঠন। এদিন সকাল থেকে তারা ধর্মঘটে শামিল হয়। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষই বিপাকে পড়বেন। একে তো তেলের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। তার উপর টাকা খরচ করেও মানুষ পাম্পে এসে তেল না পেলে তাদের ক্ষোভ তো বাড়বেই।

 

মৌড়িগ্রামে যে ধর্মঘট শুরু করেছেন ট্যাঙ্কার মালিকরা, তার প্রভাব পড়তে পারে বজবজের ভারত পেট্রলিয়াম ডিপো এবং হলদিয়ার হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়াম ডিপোতেও।
আচমকা ধর্মঘট প্রসঙ্গে ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাঙ্কার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রাজকুমার চট্টপাধ্যায় বলেন, ‘‌প্রায় ৬০টি চুক্তিবদ্ধ তেলবাহী ট্যাঙ্কারকে ইতিমধ্যেই বসিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। চালু ট্যাঙ্কারগুলির ক্ষেত্রেও পরিবহণ খরচ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে অস্বাভাবিকভাবে।’‌ ১৯৬টি চুক্তিবদ্ধ ট্যাঙ্কারের মধ্যে ৬০টিকেই বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। দু’তরফের মধ্যে বৈঠক হলেও কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি বলেই জানা গিয়েছে। ফলে আশঙ্কা বাড়ছে ক্রমশ।