কাবুলে মাদ্রাসায় হাদিস পড়ানোর সময় এক আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে নিহত হলেন কুখ্যাত তালিবান নেতা রহিমুল্লাহ হাক্কানী।
দীর্ঘদিন ধরেই হাক্কানিকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছিল। এর আগেও রহিমুল্লাহ হাক্কানির উপর হামলা হয়েছিল। যাতে তিনি গুরুতর আহত হয়েছিলেন। ২০১৩ সালের অক্টোবরে পেশোয়ারের রিংরোডে এক বন্দুকধারী আচমকায় হামলা চালায় হাক্কানী উপর। সেই সময় নিরাপদে পালাতে সক্ষম হন রহিমুল্লাহ হাক্কানি।
রহিমুল্লাহ হাক্কানি নাঙ্গারহার প্রদেশের তালেবান সামরিক কমিশনের সদস্য ছিলেন। পরে তিনি মার্কিন সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন এবং পাঁচ বছর বাগরাম কারাগারে বন্দী ছিলেন। আফগানিস্তানের একাধিক প্রদেশে ইতিমধ্যেই তালিবানিদের নিয়ে বিক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। মালাকান্দ প্রদেশে তালিবানিদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন “দেশকে তোমরা কোথায় নিয়ে যেতে চাও, দয়া করে শান্তিতে থাকতে দাও”।
একদিকে মানুষের বিক্ষোভ অন্যদিকে তালিবান নেতা রহিমুল্লাহ হাক্কানি আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যুতে আফগানিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ঝড় উঠেছে।
সুত্র মারফত জানা গিয়েছে,তালিবানিদের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই বলা হয়েছে ধর্মীয় নেতাকে ছক কষে হত্যা করা হয়েছে। মূলত তাঁকেই টার্গেট করা হয়েছিল। টার্গেট করেছিল এক ব্যক্তি, যার একটি পা নেই। কৃত্রিম পায়ের প্ল্যাস্টিকে বেঁধে বোমা নিয়ে এসেছিল স্কুলে। এরপর আচমকাই বিস্ফোরণ ঘটায় স্কুলে। তবে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কে বা কারা যুক্ত তা জানা যায়নি।