প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মামলায় অবশেষে খারিজ করা হল বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের নির্দেশ। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট।
স্বস্তি পেলেন ১১ হাজার ৭৬৫ জন চাকরি প্রার্থী। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মামলায় প্যানেল প্রকাশের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। সোমবার তা তুলে নিল শীর্ষ আদালত। ফলে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইল না। এদিন শীর্ষ আদালত জানায়, ২০১৪ এবং ২০১৭ সালে প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন, এমন ৯৫৩৩ জনের নামের প্যানেল প্রকাশ করে তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শীঘ্রই শুরু করতে হবে। পাশাপাশি ২০২২ সালের অপেক্ষারত চাকরিপ্রার্থীদেরও নিয়োগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় কিছুদিন আগেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২০১৬ সালের মোট ৪২ হাজার ৯৪৯ জন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য পর্ষদকে প্যানেল প্রকাশের জন্য ১০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এরপর বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশ খারিজ করে দেয়। জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০১৬ সালে প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়। সেই নিয়োগেই ব্যাপক বেনিয়মের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও দায়ের হয়েছিল। এরপরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন,শীঘ্রই আদালতে ওই বছরের নিয়োগের প্যানেল পেশ করতে হবে। তারপরেই সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। তবে, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ হয়ে গেলেও মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসেই ফেরানো হয়েছিল।