জেলা

নীড়ে থাকুন, ভিড়ে নয়–প্রচার জেলা প্রশাসনের

করোনা প্রতিরোধে হুগলির শ্রীরামপুর ও চন্দননগর মহকুমার পুরসভা এবং পঞ্চায়েত এলাকায় নতুন করে কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত হল। শুক্রবার বিকেল পাঁচটা থেকে কনটেনমেন্ট জোনের নিয়ম কার্যকরী হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। কনটেনমেন্ট জোনের বাসিন্দাদের ঘরে থাকার উপরেই জোর দিচ্ছে প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, শ্রীরামপুর মহকুমার উত্তরপাড়া কোতরং, ডানকুনি, কোন্নগর, রিষড়া, শ্রীরামপুর, বৈদ্যবাটি পুরসভা এবং শ্রীরামপুর, উত্তরপাড়া ব্লকের কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, চণ্ডীতলা ২ ব্লকের বরিজহাটি ও চণ্ডীতলা গ্রাম পঞ্চায়েত, জাঙ্গিপাড়া ব্লকের রাজবলহাট ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকটি এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় আনা হয়েছে। গ্রামীণ এলাকা সিঙ্গুরের মির্জাপুর বাঁকিপুর ও বোরাই পহলমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কিছু এলাকা কনটেনমেন্ট জোনের আওতাধীন।
এখানে নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধ ও দুধের মতো সামগ্রী ছাড়া সমস্ত দোকান বাজার বন্ধ রাখতে হবে। বাইরে বেরোলে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক। ওই সমস্ত এলাকায় গণপরিবহণও বন্ধ থাকবে। জিটি রোডের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় বাস চললেও গলির ভেতরে অটো, টোটো, মোটরবাইক কিছু নিয়েই যাতায়াত করা যাবে না। নতুন কনটেনমেন্ট জোনে ‘স্টে হোম’কেই গুরুত্ব দিচ্ছে জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিকে কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের নতুন নির্দেশিকা আসা না পর্যন্ত কনটেনমেন্ট জোনে পুরনো লকডাউনের নিয়ম কার্যকরী হবে।’
জানা গিয়েছে, লকডাউন পর্বে ডানকুনি ও ব্যান্ডেলে একাধিক শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে গাদাগাদি করে ভিনরাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের জেলায় ফেরাকেই দায়ী করেছে জেলা প্রশাসন। লকডাউন পর্বে দু’ডজনের বেশি ট্রেনে জেলায় প্রায় ৫৫ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক ফিরেছেন। ডানকুনি ও ব্যান্ডেল স্টেশন থেকে কয়েক হাজার পরিযায়ী শ্রমিক অন্যান্য জেলায় বাড়ি ফিরেছেন। আনলক পর্বে বাজার দোকান খুলে যেতেই সামাজিক দূরত্ববিধি না মেনেই মানুষের ভিড় জমে যেতেই সংক্রমণের হার বৃদ্ধি হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, এক পুলিশকর্মীর অনেকদিন ধরে পেট খারাপ ছিল, কয়েকদিন পর তিনি আর কোনও কিছুর গন্ধ পাচ্ছিলেন না। পেট খারাপের চিকিৎসা করে সমস্যার প্রতিকার না হওয়ায় পুলিশকর্মীর লালারস পরীক্ষায় দেখা গেল তিনি করোনা পজিটিভ। কিন্তু করোনার কোনও উপসর্গই তাঁর ছিল না। তাই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। এই কারণে কড়াকড়ি করা হচ্ছে।