A special bench of the Calcutta High Court had said in a bail application that the case would not be heard now. The case will be heard if the work of the court is normal. The High Court even issued directions. A lawyer applied for bail in another special bench of the High Court, concealing the order. As a result, the court fined the lawyer 50,000.
রাজ্য

কেন্দ্র–রাজ্য ভর্ৎসিত কলকাতা হাইকোর্টে

আবার পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর কোপ। তাও কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের রাজনৈতিক মতের পার্থক্যের জন্য। যা ভাবা যায় না। কিন্তু সেজন্য পরিযায়ী শ্রমিকরা বঞ্চিত হবেন কেন? লকডাউন চলাকালীন মালদহে দু’‌লক্ষেরও বেশি পরিযায়ী শ্রমিক ফিরে এলেও তারা কেন্দ্রীয় সরকারের ‘‌গরীব কল্যাণ রোজগার অভিযান’‌ যোজনা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এই অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতেই দুই সরকারকে উদ্দেশ্য করে এই ভাষাতেই মন্তব্য করেন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
আদালত সূত্রে খবর, মামলাকারী মোস্তাক আলমের অভিযোগ, চলতি বছরের মে মাসের আগে পর্যন্ত মালদহে ২৫ হাজারেরও বেশি পরিযায়ী শ্রমিক ফিরে এসেছেন। কিন্তু ‘‌গরীব কল্যাণ রোজগার অভিযান’‌ যোজনা প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। মামলাকারীর তরফে জেলায় ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম, ফোন নম্বর ও ঠিকানা–সহ সমস্ত তথ্য তুলে ধরা হয়। কেন্দ্রের তরফে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ওয়াই জে দস্তুর। তিনিই এই প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ তথ্য দেন।
বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ডিভিশন বেঞ্চ শুনানিতে মন্তব্য করেন, ‘‌এই ধরনের প্রকল্পের সুবিধা দিতে সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে। কোনও পরিযায়ী শ্রমিককে প্রকল্পের সুবিধা পেতে কেন সরকারের দ্বারস্থ হতে হবে। কোন জেলায় কত পরিযায়ী শ্রমিক ফিরেছেন, তা খুঁজে বের করার দায়িত্ব সরকারেরই। অথচ মালদা জেলায় দু়’‌লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক ফিরলেও রাজ্যের কাছে কোনও তথ্য নেই। যা দুর্ভাগ্যজনক।’
এই মন্তব্য করার পাশাপাশি অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ও অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেলকে নির্দেশ দেন, নভেম্বর মাসের মধ্যে মালদহের পরিযায়ী শ্রমিকদের এই প্রকল্পের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করা যায় কি না অতি সত্বর তা দেখতে হবে। ২০ তারিখ ফের মামলার শুনানি।