ফের আম। ভুটানের রাজা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে আগেই পাঠিয়েছিলেন বিশেষ ‘হাড়িভাঙা’ আম। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল ব্রুনেইয়ের সুলতান হাজি হাসান আল-বলকিয়াহ মইজুদ্দিন ওয়াদ এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নামও। তাঁদেরও শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে হাড়িভাঙা আম পাঠালেন শেখ হাসিনা।
জানা গিয়েছে, ‘শুভেচ্ছা উপহার’ হিসেবে হাজার কেজি আম কুরবানি ইদের দিন ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। ইসলামাবাদে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এই শুভেচ্ছা উপহার সাদরে গ্রহণ করেছে পাকিস্তান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই উপহার ভ্রাতৃপ্রতিম দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ নজির হিসাবে বিবেচিত হবে।
এদিকে, শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে প্রত্যেককে ১০০০ কেজি আম পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। ব্রুনেইয়ে অবস্থিত বাংলাদেশের শেফ অফ দ্য মিশন শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আম পাওয়ার কথাটি জানিয়েছেন। গত ২৪ জুলাই বাংলাদেশ হাইকমিশনারের পক্ষ থেকে এই হাড়িভাঙা আম ব্রুনেইয়ের বিদেশ মন্ত্রকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এরপর আমগুলি সরাসরি দেশের সুলতানের প্রাসাদে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে ‘আম কূটনীতি’তে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে ভুটানের রাজা লোটে শেরিংকে আম উপহার দিয়েছিলেন।
এরপর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২৬০০ কেজি বা ৬৫ মণ মরশুমি ফল ‘হাড়িভাঙা আম’ উপহার দেন। বিপ্লব দেবের জন্য ৩০টি কার্টনে করে ৩০০ কেজি হাড়িভাঙা আম আসে। আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশানের কাছে ওই তা হস্তান্তর করা হয়। পালটা আবার বিপ্লব দেব আনারস পাঠান হাসিনাকে।