যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ধ্বংস করতে বিজেপি’র প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে একজোট হতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ালেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। সূত্রের খবর, রবিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে এই নিয়ে আলোচনা করেন শরদ পাওয়ার। জানুয়ারি মাসে কলকাতায় বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে সম্মিলিত সভা করার পরিকল্পনাও করেছেন পাওয়ার।
রাজ্যের তিন পুলিশ অফিসারের বদলি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আগেই সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি টুইট করে করে কেন্দ্রের ওই প্রচেষ্টাকে রাজ্যের অধিকারে নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ বলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মমতা। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভাঙার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাশে থাকার জন্য কেজরিওয়াল, ভূপেশ বাঘেল,ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিং, অশোক গেহলট ও জিএমকে নেতা এম কে স্ট্যালিনকে ধন্যবাদ জানান মমতা।
কেন্দ্রের তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদেও ঐক্যবদ্ধ বিরোধী শক্তিকে তীব্রতর করার পরিকল্পনায় তৃণমূলের হাত ধরতে আগ্রহী এনসিপি। জানুয়ারিতে কলকাতায় আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই সুরেই গলা মেলালেন শরদ পাওয়ার। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। তাঁর কনভয়ে হামলার জেরে বাংলার তিন আইপিএস আধিকারিককে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রের তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কয়েক সপ্তাহ ধরেই দিল্লিতে আন্দোলন করে চলেছেন কৃষকরা। তাঁদের সেই আন্দোলনে তৃণমূলের সমর্থনের কথাও জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। সূত্রের খবর, শোনা যাচ্ছে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারের আসতে পারেন এনসিপি প্রধান। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারই নয়, বিজেপি-কে রুখতে বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে সর্বাত্মক লড়াইয়ে নামতে উদ্যোগী হয়েছেন মমতা। লড়াইয়ে সাড়া মিলেছে অন্যান্য আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দের।