৪০০ ঘণ্টারও বেশি সময় আটকে থাকার পর মঙ্গলবার রাতে অবশেষে মুক্ত হয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক। উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গের ভিতর থেকে এদিন এক এক করে শ্রমিকরা বেরিয়ে আসতেই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে শুরু করেন তাদের পরিবার।
মার্কিন যন্ত্র অগার মেশিন বিকল হওয়ার পর উদ্ধারের কাজে নতুন কৌশল অবলম্বন করেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। সোমবার থেকে শুরু হয় ‘র্যাট-হোল মাইনিং’। ‘ইঁদুরের গর্ত’ খুঁড়ে শ্রমিকদের বের করে আনার চেষ্টা শুরু হয়। তাতেই মেলে সাফল্য! উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে এই ইঁদুরের গর্ত খোঁড়ার জন্য কাজ করেছেন ১২ জন অভিজ্ঞ শ্রমিক। ‘র্যাট-হোল’ খুঁড়ে আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিকদের কাছে পৌঁছতে পেরেছেন তাঁরা।
এই জন্য দিল্লি থেকে দু’টি বিশেষজ্ঞ দল আনা হয়েছিল। সেই দলে ১২ জন সদস্য ছিলেন। উত্তরাখণ্ড সরকারের নোডাল অফিসার নীরজ খয়েরওয়াল অবশ্য স্পষ্ট করেছেন যে, র্যাট হোল খননের জন্য যাঁদের আনা হয়েছিল তাঁরা কেউই খনিতে ইঁদুর-গর্ত খননের শ্রমিক নন বরং এই পদ্ধতিতে বিশেষজ্ঞ ছিলেন।
এদিন এক এক করে শ্রমিকরা বেরিয়ে আসতেই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে শুরু করেন দেশবাসীরা। ৪০০ ঘণ্টারও বেশি সময় আটকে থাকার পর মাত্র ৪০ মিনিটের মধ্যেই উদ্ধারকাজ শেষ করা হয়। আর সেই সুখবর পৌঁছতেই অকাল দীপাবলি পালন শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে যাওয়া তিন শ্রমিকের বাড়ি ও পাড়ায়।