এয়ারফোর্সের ভূমিকা নিয়ে চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াতের মতামত শুধরে দিলেন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আর কে এস ভাদোরিয়া। নজিরবিহীন এই ঘটনা ঘটল একই সম্মেলন মঞ্চে। আর তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। গ্লোবাল কাউন্টার–টেররিজম কাউন্সিলের সম্মেলনে পৃথকভাবে বক্তব্য রাখেন রাওয়াত ও ভাদোরিয়া।
চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ রাওয়াত বলেন, ‘ভুললে চলবে না সশস্ত্র বাহিনীর সহযোগীর ভূমিকা পালন করে চলেছে বায়ুসেনা। ঠিক যেমনটা সেনাবাহিনীর অন্দরে যোদ্ধাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন আর্টিলারি বা ইঞ্জিনিয়াররা।’ বিপিন রাওয়াতের এই মন্তব্যকেই কার্যত ‘শুধরে’ দিলেন বায়ুসেনা প্রধান। ভাদোরিয়া বলেন, ‘শুধুমাত্র সহযোগীর ভূমিকা পালন করে না বায়ুসেনা। যে কোনও সঙ্ঘবদ্ধ যুদ্ধে বায়ুসেনা বিশাল ভূমিকা পালন করে।’
সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময় পূর্ব লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ রাওয়াত। তিনি বলেন, ‘প্যাংগং লেক চত্বর থেকে দুই দেশই সংঘাতের পরিস্থিতি থেকে সরে আসতে শুরু করেছে। তা সত্ত্বেও গত কয়েক মাসে ওই অঞ্চলে চিন নিজেদের পরিকাঠামো শক্তপোক্ত করার কাজ চালিয়েছে।’ প্রশ্ন করা হয়, তিন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় এনে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে থিয়েটার কমান্ড গড়ার প্রস্তাব নিয়ে বায়ুসেনা গড়িমসি করছে বলে একটি ধারণা তৈরি হয়েছে। তা নিয়েই আপনার অভিমত কী? জবাব দিতে গিয়েই চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বায়ুসেনার ভূমিকা ব্যাখ্যা করেন। তাঁর বক্তব্য, বায়ুসেনা সহযোগীর ভূমিকা পালন করে। প্রস্তাবিত থিয়েটার কমান্ড দেশের এয়ার স্পেসের সামগ্রিক পরিচালন ব্যবস্থার দেখভাল করবে।
এদিন রাওয়াত বলেন, ‘বায়ুসেনার নিজস্ব এয়ার ডিফেন্স চার্টার রয়েছে। অভিযান চালানোর সময় স্থলবাহিনীকে সহায়তা করে তারা।’ রাওয়াতের এই বক্তব্যেরই পাল্টা যুক্তি দেন ভাদোরিয়া। তাঁর সাফ কথা, ‘বায়ুসেনা শুধুমাত্র সহযোগীর ভূমিকা নেয় না। বরং, সঙ্ঘবদ্ধ যুদ্ধে বায়ুসেনার বিশাল ভূমিকা থাকে। প্রস্তাবিত ইন্টিগ্রেটেড থিয়েটার কমান্ড গঠনের ক্ষেত্রে বায়ুসেনা পুরোপুরি দায়বদ্ধ। আমাদের তা তৈরি করতেই হবে।’