মহারাষ্ট্রের রায়গড়ে ভূমিধসের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ২২। আশঙ্কা করা হচ্ছে, কাদামাটিতে এখনও বেশ কিছু মানুষ আটকে রয়েছেন। তবে তাদের জীবিত থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। ভূমিধসের ঘটনায় আহত ৯৩ জনের বেশি মানুষ। কিন্তু এখন পর্যন্ত গ্রামটির ১১৪ জন বাসিন্দার খোঁজ পাওয়া যায়নি।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) জানিয়েছে, যে জায়গায় ধস নেমেছিল, সেখান থেকে ২২টি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।
এনডিআরএফ–এর চারটি দল, ডগ স্কোয়াডকে নিয়ে রাজ্য প্রশাসন ও পুলিশের সহায়তায় সেখানে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে।আবহাওয়া খারাপ থাকায় শুক্রবার স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে তল্লাশি স্থগিত রাখা হয়। শনিবার সকালে তা আবার শুরু হয়েছে। তবে, একটানা বৃষ্টি ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সেখান থেকে জীবিত আর কারও উদ্ধারের সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। এনডিআরএফ-এর কন্ট্রোল রুম পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রায়গড়ের খালাপুর তহসিলের ইরশালওয়াড়ি গ্রামে আচমকা ধস নামে। পাহাড়ের উপর বেশ কয়েকটি বাড়ি ধসে যায়। মাটিতে বসে যায় কিছু কিছু বাড়ি। ওই এলাকার মোট ৪৮টি পরিবার এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।