জেলা

‌বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত পাহাড়, ৩০ এলাকায় ধস

নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে ধসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দার্জিলিং পাহাড়। পাহাড়ের ৩০টি জায়গায় কমবেশি ধস নামে। দু’টি পুরসভার পাঁচটি ওয়ার্ড ও ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রায় ৪০টি বাড়ি। গৃহহীন হয়ে পড়েছে বহু মানুষ। তাঁদের কেউ আত্মীয়ের বাড়ি, আবার কেউ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বেশকিছু রাস্তা বন্ধ হওয়ায় কয়েকটি এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা) বহ্নিশিখা দে বলেন, ‘‌ধস বিধ্বস্ত এলাকা থেকে দুর্গতদের উদ্ধার করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করা হচ্ছে।’‌

সাধারণত বৃষ্টি হলেই পাহাড়ে ধস নামে। এটাই পাহাড়ের চেনা ছবি। কিন্তু, একরাতে ৩০টি এলাকায় ধস নামার ঘটনা ইদানিংকালে এই প্রথম। প্রশাসন সূত্রে খবর, রাতভর বৃষ্টি হওয়ায় দার্জিলিং পুরসভা এলাকার ১৮ ও ২৮, মিরিক পুরসভার ৩, ৭ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ধস নামে। কার্শিয়াং ব্লকের সেন্টমেরিস-১ ও গয়াবাড়ি-৩, বিজনবাড়ির সিংটমসোম ও চোংটোং, সুখিয়াপোখরির ধোতেরিয়া কলেজ ভিলা, পোখরিয়া-১ ও ২, রাংঙুল ও পুলডাঙা, মিরিকের সৌরেনি-২, পিজিএসডি-২ প্রভৃতি সহ ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং দার্জিলিং ও মিরিক পুরসভার পাঁচটি ওয়ার্ড ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

প্রশাসনের আধিকারিকরা জানান, ধসের জেরে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে কয়েকটি বাড়ি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিছু রাস্তাও অবরুদ্ধ হয়ে যায়। এর বাইরে দার্জিলিং শহর থেকে আটকিমি দূরে একটি চা বাগানে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কয়েকটি গ্রামে বাজারে যাওয়ার রাস্তাও বন্ধ হয়ে আছে। ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়াদের চাল, ডাল ও শুকনো খাবার বিলি করা হয়েছে।

ধস কবলিত এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, প্রচুর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেকেই এখন গৃহহীন অবস্থায় আছেন। একইসঙ্গে অবরুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় কিছু রাস্তা দিয়ে চলাচলা করা যাচ্ছে না। বাড়িতে মজুত খাবার খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে। এই অবস্থায় আবার ধস নামলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। জেলা বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা দপ্তর, পুলিস, পূর্তদপ্তর পেলোডার নিয়ে রাস্তা থেকে ধস সরাতে শুরু করেছে।