বিষমদ পান করে পাঞ্জাবে মৃত বেড়ে হল ৮৬। রাজ্যের ১০০টিরও বেশি জায়গায় অভিযান চালিয়ে আরও ১৭ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এই ঘটনায় মোট ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হল। ৬ জন পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এমনকী এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের পদত্যাগের দাবি করে শাসকদলের অন্যান্য নেতা–মন্ত্রীদের একহাত নিয়েছেন শিরোমণি অকালি দলের সভাপতি সুখবীর সিং বাদল। কংগ্রেস সরকারের মদতেই দলের মন্ত্রী– বিধায়করা এই অবৈধ মাদক ব্যবসা চালাচ্ছেন বলে সরাসরি অভিযোগ এনেছেন এই শিরোমণি অকালি দলের সভাপতি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার অমৃতসর, গুরদাসপুরের বাটালা এবং তর্ন তারনে বিষ মদ পান করে ৮ জনের মৃত্যুর খবর আসার পরেই অভিযানে নামে পুলিশ। তখনই ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মৃতদের বেশির ভাগই তর্ন তারনের বাসিন্দা। এখানে মারা গিয়েছেন ৬৩ জন। বিষমদ পান করে অমৃতসরে ১২ জন ও বাটালায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। কড়া হাতে মোকাবিলা করছেন বলে দাবি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার দায়ে ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৭ জন আবগারি দপ্তরের আধিকারিক ও ৬ পুলিশকর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিরোধী দলের নেতা বাদল এই ঘটনাকে খুনের তকমা দিয়ে শাসকদলের নেতা–মন্ত্রীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনায় রাজনীতি না করার পরামর্শ দিয়ে মনে করিয়ে দেন অতীতেও অকালি দল ও বিজেপি’র সময়ও এমন বিষমদ কাণ্ড ঘটেছিল।
পাঞ্জাবের তিন জেলায় যে এই বিষমদ কাণ্ডকারখানা চলছে তা গত বুধবার প্রথম জানা যায়। এক আবগারি আধিকারিক জানান, পুলিশি অভিযানে যে পদার্থ আটক করা হয়েছে তার রাসায়নিক বিশ্লেষণের রিপোর্ট এখনও না এলেও, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান ওই মদে ডিনেচার্ড স্পিরিট ছিল। যা সাধারণত রং–এ বা হার্ডওয়ারে ব্যবহার করা হয়। পুলিশের ডিজি দিনকর গুপ্ত বিবৃতিতে জানান, বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে শম্ভু বর্ডার, পাটিয়ালা এবং রাজপুরার বিভিন্ন গ্রাম ও ধাবা থেকে পুলিশ প্রচুর পরিমাণে ‘লহন’ আটক করেছে। ‘লহন’ হল মদ তৈরির কাঁচা মাল।
