দেশ ব্রেকিং নিউজ

পুলিশ–জনতা খণ্ডযুদ্ধে রণক্ষেত্র পাঞ্জাব

সাতসকালেই চলল গুলি, ইটবৃষ্টি। আর তাতে কেঁপে উঠল ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের পাঞ্জাব। নেপথ্যে করোনা ভাইরাস। কারণ করোনাতেই মৃত্যু হয়েছে এই সন্দেহে এক বৃদ্ধার মৃতদেহ সৎকারে বাধা দেয় স্থানীয়রা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয় পুলিশকে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করা হয়। এমনকী রেহাই পাননি চিকিৎসকরা। উন্মত্ত গ্রামবাসীদের হাতে আক্রান্ত হন তাঁরাও। অবশেষে পরিস্থিতি বাগে আনতে শূন্যে গুলি চালায় পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে পাঞ্জাবের এক প্রত্যন্ত গ্রাম অম্বালা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বৃদ্ধা দীর্ঘদিন ধরেই হাঁপানিতে ভুগছিলেন। সম্প্রতি তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের সদস্যরা। হাসপাতালে পৌঁছনোর কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি মারা যান। তাঁর দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এরপর দেহটি তুলে দেওয়া হয় জেলা প্রশাসনের হাতে। করোনায় মৃতদের দাহ করার যে নির্দিষ্ট জায়গা সেখানে তাঁকে দাহ করার ব্যবস্থা হয়। তখন শ্মশানে হাজির হয় গ্রামের লোকজন।
পরীক্ষার ফল হাতে আসার আগেই গ্রামবাসীরা ধরে নেন, ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে করোনাতেই। তাঁর দেহ সৎকারে বাধা দেন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পুলিশকে ইট ছুঁড়তে থাকেন তাঁরা। হামলা চলে চিকিৎসকদের ওপরেও। অম্বালা ক্যান্টনমেন্টের ডিএসপি রাম কুমার জানান, গ্রামবাসীদের অনেক বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছিল, যে ভয়ের কিছু নেই। প্রশাসন পাশে রয়েছে। রোগ যাতে না ছড়ায়, সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু গ্রামবাসীদের শান্ত করা সম্ভব হয়নি। উত্তেজিত গ্রামবাসীদের ছত্রভঙ্গ করতে শূন্যে গুলি চালায় পুলিশ। কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।