করোনা আক্রান্ত নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। দ্য গার্ডিয়ানের তথ্য অনুযায়ী, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় জেসিন্ডা আরডার্ন-এর মধ্যে সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দেয়। শনিবার সকালে তিনি দ্রুত পরীক্ষা করার পর রিপোর্ট পজেটিভ আসে। জেসিন্ডা আরডার্ন-এর পাশাপাশি সংক্রমিত হয়েছেন তাঁর সঙ্গী ক্লার্ক গেফোর্ড।
নিউজিল্যান্ডের সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীর শরীরে করোনার লক্ষণ মিলেছে। আপাতত আগামী সাতদিন নিজের বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকবেন তিনি।
সারা বিশ্বের কাছে করোনা সংক্রমণ রোধে কঠোর পদক্ষেপের দিক থেকে বেশ জনপ্রিয় হয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। চলতি বছরের প্রথম দিকে নতুন করোনা বিধি-নিষেধ ঘোষণার পর নিজের বিয়ে বাতিল করে দেন তিনি।
করোনা মহামারীর প্রথম দিকে যে দেশগুলি এর কবলে পড়েছিল তার মধ্যে নিউজিল্যান্ড এমন একটি দেশ যারা সংক্রমণের শুরুতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রথম থেকেই কড়া বিধিনিষেধ ও লকডাউন ঘোষণা করে দেশকে সুরক্ষা দিতে তৎপর হয়ে ওঠেন তিনি। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল সীমান্ত। পাশাপাশি করোনা অতিমারিকে ঠেকাতে জোর কদমে শুরু হয় টিকাকরণ অভিযান।
শুধু তাই নয়,ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপে নিউজিল্যান্ড বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। বর্তমানে নিউজিল্যান্ডে আবার করোনার সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। দেশের প্রধানমন্ত্রী করোনা সংক্রমিত হওয়ায় সরকারের আসন্ন বাজেট নিয়ে সংসদ আলোচনায় অংশ নেবেন না জেসিন্ডা আরডার্ন।