রাজ্য

নবান্নকে অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব রাজ্য পুলিশের

জ্বালানি কিনতে সমস্যায় পড়েছে রাজ্য পুলিশ। থানায় তেলের চাহিদা মেটানো হবে কী করে, তাই নিয়ে চিন্তিত রাজ্য পুলিশের কর্তারা। খরচে কাটছাঁট করেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু নিরাপত্তার সঙ্গে আপোষ করতে চান না আধিকারিকরা। তাই জ্বালানির জন্য বাড়তি অর্থবরাদ্দ চেয়ে নবান্নে প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে রাজ্য পুলিশের তরফে।

মোদী জমানায় পেট্রোল–ডিজেলের দাম লাগামছাড়া গতিতে। এই নিয়ে রাজ্য বারবার সরব হয়েছে। এক পয়সা কমানো তো দূর, এই নিয়ে কোনও পদক্ষেপই নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আঁচ পড়েছে পুলিশ দপ্তরেও। একধাক্কায় খরচ বেড়েছে অনেকটাই। অথচ বাজেটে তেল কেনার জন্য বরাদ্দ রয়েছে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা।

ডিজেলের দাম রোজ বেড়ে চলায় প্রতিদিনের বাজেট থেকে বেশি টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে। যে কারণে জ্বালানি কিনতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন রাজ্য পুলিশের কর্তারা। টাকার সঙ্কট এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে সপ্তাহখানেক আগে রাজ্য পুলিসের কার্যনিবাহী ডিজি মনোজ মালব্য পুলিস ডিরেক্টরেটের বিভিন্ন বিভাগের পদাধিকারীদের নিয়ে যে বৈঠকে বসেছিলেন, তাতেও উঠে এসেছে বিষয়টি।

রাজ্য পুলিশে ৪০০ র বেশি থানা রয়েছে। গড়ে প্রতিটি থানায় গাড়ি পিছু প্রতিদিন আট লিটার তেল বরাদ্দ। এর বাইরে রয়েছে বিভিন্ন ব্যাটালিয়ন। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা থেকে তেল কিনে থাকে তারা। এরজন্য কোন মাসে খরচ দাঁড়ায় ৯৫-৯৬ লক্ষ, আবার কোনও মাসে তা কোটির অঙ্ক ছোঁয়া। এমনিতেই রাজ্য পুলিসের প্রতিটি থানার এলাকা বিশাল।

তেলের দাম বাড়ায় বাড়তি অর্থ মেটাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন আধিকারিকরা। ডিজির ওই বৈঠকে পুলিস ডিরেক্টরেটের অ্যাকাউন্টস দপ্তরের পক্ষ থেকে পরিসংখ্যা তুলে ধরে জানানো হয়েছে, রাজ্য পুলিসের জন্য বরাদ্দ টাকার ৫০ শতাংশ চলে যাচ্ছে কর্মীদের বেতন মেটাতে (স্যালারি আইটেম)। আর ২৫ শতাশ ফান্ড বরাদ্দ হয়েছে নন স্যালারি আইটেমের জন্য। অ্যাকাউন্টস সেকশনের কাছ থেকে এই পরিসংখ্যান পাওয়ার সমস্যা মেটাতে উদ্যেগী হয়েছে আধিকারিকরা। পুলিসের মতো একটি জরুরি বিভাগে যাতে অর্থ সঙ্কট না হয়, তাই নিয়ে প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে একপ্রস্থ কথাও হয়েছে তাঁদের বাড়তি বরাদ্দ চেয়ে প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে।