দেশ লিড নিউজ

উৎসবে বিদ্যুৎ ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা

কয়লা সঙ্কট কিছুতেই মিটছে না। ৭৩টি কয়লাচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে বেঁচে আছে তিনদিনের কয়লার ভাঁড়ার। ৫০টি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৪ থেকে ৮ দিনের ভাঁড়ার। মাত্র ১৩টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে রয়েছে ১৪ দিনের স্টক। ফলে সবথেকে বড় যে সঙ্কট নিয়ে চরম আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, সেটি হল, এবার উৎসবের মরশুমে তীব্র বিদ্যুৎ ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

কেন্দ্রীয় সরকার গত সপ্তাহে একটি রিভিউ কমিটি গঠন করেছিল কয়লা সঙ্কট নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি খনি সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনা করার জন্য। কোল ইন্ডিয়ার সঙ্গে হয়েছে কয়লা মন্ত্রকের পৃথক বৈঠক। কিন্তু উচ্চপর্যায়ের এই কমিটি দফায় দফায় বৈঠক করলেও এখনও সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি। একইসঙ্গে একঝাঁক সমস্যা তৈরি হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া–সহ কয়লা রপ্তানিকারী দেশে কয়লার দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। ভারতের শিল্পোৎপাদন ইউনিটগুলিতে বেড়েছে কয়লার চাহিদা। যেহেতু দীর্ঘদিন পর আবার শিল্প পরিস্থিতি স্বাভাবিকতায় ফিরছে, তাই বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কয়লার চাহিদা। ভারতে উৎপাদিত কয়লার সিংহভাগই ক্রয় করে বিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিটগুলি। আর ভারতের বিদ্যুতের চাহিদার ৫৩ শতাংশই মেটায় এই কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি।

কয়লা ক্রয় করা সত্ত্বেও বকেয়া মেটায়নি একঝাঁক রাজ্য। রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং উত্তরপ্রদেশ এই তালিকায় অগ্রগণ্য। এই বিপুল বকেয়ার চাপে কয়লা সংস্থাগুলিও নতুন করে কয়লা উৎপাদন করতে পারছে না। পাশাপাশি নতুন স্টক করার মতো অর্ডার দেওয়ার আগে এই রাজ্যগুলির থেকে বকেয়া অর্থ চাইছে কোল ইন্ডিয়াসহ বিভিন্ন কয়লা উৎপাদন সংস্থা। এই সঙ্কটের কারণেই বিদ্যুতের ছাঁটাই হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। দেশজুড়ে সেক্ষেত্রে হতে পারে বিদ্যুৎ সঙ্কট।