রাষ্ট্রপুঞ্জের বার্ষিক সাধারণ সভা এবং কোয়াড বৈঠকে যোগ দিতে ওয়াশিংটনে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন প্রবাসী ভারতীয়রা। তেরঙ্গা, ফুলের মালা হাতে অপেক্ষা করেছিলেন ভারতীয়রা। এদিনের হালকা বৃষ্টিকে কার্যত উপেক্ষা করেই রাত থেকে বিমানবন্দরের বাইরে ছিলেন তাঁরা।
নরেন্দ্র মোদী এয়ারপোর্ট থেকে বেরনো মাত্র তাঁরা মোদীকে অভিনন্দন জানিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন। আপ্লুত হয়ে নরেন্দ্র মোদীও তাঁদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন। টুইট করে মোদী বলেন, ‘ওয়াশিংটন ডিসিতে নামামাত্র উষ্ণ অভ্যর্থনা পেলাম, তার জন্য ধন্যবাদ। প্রবাসীরা আমাদের শক্তি। সারাবিশ্বে ভারতীয়রা ছড়িয়ে আছেন, যা অত্যন্ত গর্বের বিষয়।’
মহামারী শুরুর পর থেকে এই প্রথম বিদেশসফরে গেলেন। জো বাইডেনের আমন্ত্রণ পেয়ে আমেরিকা সফরের পরিকল্পনা করেন মোদী। এদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। সাক্ষাৎ করবেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সঙ্গেও। বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা জানান, তালিবানের কাবুল দখলের পর পরিস্থিতি বদলেছে। আর তার জেরে নিরাপত্তাজনিত কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন বাইডেন এবং মোদী।
বুধবারই আমেরিকার উদ্দেশ্যে রওনা হন মোদী। তিনদিনের মার্কিন সফর প্রসঙ্গে বিবৃতি পেশ করে মোদী বলেছিলেন, ‘জো বাইডেনের আমন্ত্রণে আমি ২২-২৫ সেপ্টেম্বর আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছি। আমার আমেরিকা সফরের দরুন আন্তর্জাতিক স্তরে ভারত এবং আমেরিকার যৌথতা নিয়ে আলোচনা হবে।’