মার্কিন সফরের প্রথম দিনেই আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেবল কমলাই নয়, ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎ করেছেন জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গেও। সেই বৈঠকে করোনা মোকাবিলায় দুই দেশের সহযোগিতার পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গেও আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে।
বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কমলা হ্যারিসের সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই জানান, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস নিজেই সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গ তুলে আনেন। সেখানেই পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়েও কথা বলেন তিনি। ভাইস প্রেসিডেন্ট নিজেই জানান, তিনি ইসলামাবাদকে দেশের অন্দরে যে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন যাতে ওই সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি আমেরিকা ও ভারতের নিরাপত্তাকে কোনওভাবে বিঘ্নিত হতে না পারে।
মোদির মার্কিন সফর ঠাসা কর্মসূচিতে। একে একে তিনি সাক্ষাৎ করবেন কোয়ালকম সিইও ক্রিস্টিয়ানো আর আমন, অ্যাডব চেয়ারম্যান শান্তুনু নারায়েন, ফার্স্ট সোলার সিইও মার্ক উইডমার, জেনারেল অ্যাটমিকস সিইও বিবেক লাল, ব্ল্যাকস্টোন সিইও স্টিফেন এ সোয়ার্জম্যানের সঙ্গে। তাঁদের সঙ্গে ভারতের বর্তমান শিল্প ও বিনিয়োগের পরিবেশ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি, আমেরিকার নতুন সরকারের আমলে মোদির প্রথম সফরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে আলোচনা ছাড়াও দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার প্রয়াস থাকবে।
কমলা হ্যারিসের অপর একটি উল্লেখযোগ্য মন্তব্য ছিল, গণতান্ত্রিক নীতি ও প্রতিষ্ঠানগুলি রক্ষা করার দায়িত্ব দুই দেশেরই। তিনি বলেন, “বিশ্বজুড়েই গণতন্ত্র বর্তমানে বিপন্ন। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীর মঙ্গলকামনায় আমাদের দায়িত্ব নিজেদের দেশের অন্দরে ও বিশ্বজুড়ে গণতান্ত্রিক নীতি ও প্রতিষ্ঠানগুলিকে রক্ষা করা।” কমলার প্রশংসায় প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের নির্বাচনে আপনার লড়াই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক একটি অনুষ্ঠান ছিল। গোটা বিশ্বজুড়েই অনেকের কাছে আপনি অনুপ্রেরণা। আমি নিশ্চিত যে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও আপনার নেতৃত্বে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে।”
You must be logged in to post a comment.