দেশ ব্রেকিং নিউজ

‘ভুয়ো খবরে বিশ্বাস করবেন না’‌

দেশের ভয়ঙ্কর করোনা পরিস্থিতিই এখন আলোচ্য বিষয়। রবিবার প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাত অনুষ্ঠানেও তাই উঠে এল করোনা–কথা। আলোচনার শুরুতেই নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘‌করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আমাদের ধৈর্য্য ও সহ্যশক্তির পরীক্ষা নিচ্ছে।’‌ একইসঙ্গে ঢালাও প্রশংসা করেন দেশের স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রথমসারির করোনা যোদ্ধাদের। সংক্রমণ চিহ্নিতকরণ থেকে শুরু করে তার চিকিৎসা, রোগীর মানসিক স্বাস্থ্য, করোনা যোদ্ধাদের লড়াই করাল কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী মুম্বইয়ের এক চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেন। দ্বিতীয় ঢেউ সম্পর্কে জানতে চান। তার জবাবে ডঃ শশাঙ্ক বলেন, ‘‌ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আগের মতোই সমস্ত উপসর্গ দেখা যাচ্ছে এইবারের সংক্রমণেও। তবে ৮০–৯০ শতাংশ রোগীই উপসর্গহীন। সঠিক খ্যাদাভ্যাস ও স্বাস্থ্যবিধি নিয়ম মেনে চললে ১৪ থেকে ২১ দিনের মধ্যেই করোনা সেরে যায়।’‌
করোনা নিয়ে চিকিৎসক জানান, স্বল্প উপসর্গ দেখা দিলে নিজেকে আইসোলেশনে করে রাখুন ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। রোজ দেহে অক্সিজেনের পরিমাণ দেখুন। যদি জ্বর আসে তবে প্যারাসিটামলের মতো সাধারণ ওষুধ নিন। রেমিডেসিভির নিয়ে বাজারে এত চাহিদা কেন?‌ প্রধানমন্ত্রী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‌মাঝারি উপসর্গের ক্ষেত্রে এই ওষুধের প্রয়োজন পড়ে। মূলত এক্ষেত্রে অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়ে। রেমিডেসিভির ব্যবহারে কেবল রিপোর্টে সামান্য তারতম্য দেখা যায় ও হাসপাতালে কম থাকতে হয়। করোনা আক্রান্ত হওয়ার প্রথম ৯–১০ দিনের মধ্যে রেমিডেসিভির প্রয়োগ করলে খুব একটা ফল দেখা যায় না।’‌
করোনা নিয়ে নানা গুজব ছড়ানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‌আশেপাশের চিকিৎসককে যোগাযোগ করুন বা হাসপাতালের ওয়েবসাইট থেকে জানুন। ভুয়ো খবরে বিশ্বাস করবেন না। বর্তমানে বাজারে দুটি ভ্যাকসিন আছে। দুটিরই কার্যকারিতা ৬০ শতাংশের বেশি এবং কোনও ভ্যাকসিন নেওয়ার পরই কোনও বড় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। কোনও টিকাই ১০০ শতাংশ রোগ প্রতিরোধের গ্যারান্টি দিতে পারে না।’‌
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও একই সুরে জানান, কেন্দ্র বিনামূল্য টিকা দিচ্ছে। বর্তমানে ৪৫ বছরের উর্ধ্ব সকলেই বিনামূল্যে করোনা টিকা নিচ্ছেন। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করে বলছি, আগামীদিনেও বিনামূল্যে কেন্দ্রের টিকাকরণ কর্মসূচি চলবে। উপসর্গ দেখা দিলেই আইসোলেশনে থাকুন। চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। ভয় পাবেন না। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাবেন না। আয়ুর্বেদিক কাড়া ও গরম জল খান।