লিড নিউজ

‘‌সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে দরিদ্র ও শ্রমিকদের’‌

অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই কম মৃত্যুর হার এই দেশে। সংকটকালে উদ্ভাবনী শক্তির পরিচয় দিয়েছে দেশবাসী। আগের থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। রবিবার মাসিক রেডিও অনুষ্ঠান মন কি বাত–এ এই কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে দেশের মানুষকে আরও বেশি যত্নশীল হওয়ার আবেদন জানালেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের বড় একটা অংশ খুলে গিয়েছে। ফলে মাস্ক পরার পাশাপাশি শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। আমাদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে। সারা দেশ একত্রে লড়াই করছে। গ্রাম থেকে শহর, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে স্টার্টআপ, আমাদের ল্যাবগুলি অভিনব উদ্ভাবন–সহ করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নতুন পথ তৈরি করছে।
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘‌আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত পশ্চিমবঙ্গ। চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ওড়িশাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলাম। ওখানকার মানুষ যেভাবে লড়ছেন তা প্রশংসনীয়। আর সারা দেশের মানুষ করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছে। কিন্তু সামনের রাস্তা অনেক লম্বা। আমরা এমন একটি মহামারির সঙ্গে লড়াই করছি, যার সম্পর্কে অতীতে বিশদ কিছু জানা ছিল না।’‌
তিনি জানান, আজ আমি গোপন কথা প্রকাশ করতে চলেছি। আমি পর্যবেক্ষণ করেছি যে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে আলোচনার সময় তাঁরা যোগব্যায়াম এবং আয়ুর্বেদ নিয়ে প্রচুর আগ্রহ প্রকাশ করেন। আপনার প্রত্যেকদিনের জীবনে যোগব্যায়ামের অনুশীলন বাড়াতে এবার আয়ুশমন্ত্রক একটি অনন্য পরীক্ষামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। আমি আপনাদের সবাইকেও এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। আপনারা আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের একটি অংশ হয়ে উঠুন। সব মিলিয়ে এই কোভিড সংকটে আত্মনির্ভর ভারতের প্রচার এই দশকে দেশকে শীর্ষস্থানে নিয়ে যাবে বলে আমি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি।
তবে প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করে নিয়েছেন, কোভিড–১৯ সংকটের সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন দরিদ্র এবং শ্রমিকরা। তাঁদের বেদনা, যন্ত্রণা এবং অগ্নিপরীক্ষা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। শেষবার যখন আমি কথা বলেছি‌লাম তখনও যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা বন্ধ ছিল। কিন্তু এখন সব নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হয়েছে। করোনার সঙ্গে লড়াইয়ের বিষয়ে আমাদের অমনোযোগী হওয়া উচিত নয়। সামাজিক দূরত্ব ও অন্যান্য প্রোটোকলকে একইভাবে মেনে চলতে হবে আমাদের।