করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে হাহাকার অবস্থা তৈরি হয়েছে দেশজুড়ে। ভয়াবহ হয়েছে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার উপায় দেখা যাচ্ছে না। তবে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া চলছে। তাতেও আয়ত্ত্বে আনা যাচ্ছে না। গোটা দেশে অক্সিজেনের হাহাকার চলছে। হাসপাতালগুলিতে শয্যা নেই। বৃহস্পতিবার সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই পরিস্থিতি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
সেনাপ্রধানের কাছে করোনা মোকাবিলায় স্থলসেনার প্রস্তুতি ও পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীকে সেনাপ্রধান জানান, সেনা হাসপাতালগুলিতে করোনা চিকিৎসা করা হচ্ছে। নিকটবর্তী সেনা হাসপাতালে সাধারণ নাগরিকরা করোনা চিকিৎসার জন্য যেতে পারবেন। অক্সিজেন মজুত করার কাজ করছে সেনা। প্রধানমন্ত্রীকে সেনাপ্রধান আশ্বস্ত করেন যে মহামারী মোকাবিলায় সেনাবাহিনী সমস্ত চেষ্টা করছে। সেনা হাসপাতাল থেকে শুরু করে চিকিৎসকরা পর্যন্ত এই দুর্দিনে দেশের সাধারণ নাগরিকদের পাশে রয়েছেন। মহামারী আবহেও দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত সেনাবাহিনী।
কয়েকদিন আগে সেনার তিন বাহিনীর প্রধান ও চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াতের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন রাজনাথ। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান ও আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজের ডিজি। সেখানেই সেনার ৯৭টি হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেনাবাহিনীতে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া ও জরুরি ওষুধ মজুত করা ও তা বিতরণ নিয়ে আলোচনা হয় সেখানে।
