জেলা ব্রেকিং নিউজ

প্রতি মহল্লায় পাইপলাইনে রান্নার গ্যাস

এবার বাড়ি বাড়ি সস্তায় রান্নার গ্যাস পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্প দ্রুত আলোর মুখ দেখতে চলেছে। উত্তরপ্রদেশের জগদীশপুর থেকে কলকাতা পর্যন্ত পাইপের মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাস আনার জন্য জেলায় জেলায় জমির মালিকদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে গেইল (গ্যাস অথরিটি অব ইন্ডিয়া লিমিটেড) কর্তৃপক্ষ। গেইল কর্তৃপক্ষের দাবি, জমি হাতে পাওয়ার এক বছরের মধ্যেই আমডাঙা পর্যন্ত মূল পাইপলাইনের কাজ সম্পূর্ণ হবে।

উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, ‘‌রান্নার গ্যাসের পাইপলাইন বসানোর জন্য গেইলের সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠক হয়েছে। অগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। প্রশাসন সূত্রে খবর, ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্পে উত্তরপ্রদেশের জগদীশপুর থেকে হলদিয়া, বোকারো ও ধামড়া পর্যন্ত পাইপের মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাস পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রকল্পে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৩ হাজার ৪০০ কিমি পাইপলাইন বসাতে হবে। এর জন্য খরচ হবে প্রায় ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের বিস্তীর্ণ অংশে এই পাইপলাইনের কাজ অনেকটাই হয়ে গিয়েছে। এই রাজ্যে দুর্গাপুর পর্যন্ত ইতিমধ্যেই গেইলের পাইপলাইন চলে এসেছে। এই গ্যাস বিভিন্ন কারখানার পাশাপাশি একাধিক শহরে গৃহস্থদের বাড়িতেও পাইপলাইনের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হবে। গেইল কর্তৃপক্ষের দাবি, দুর্গাপুর থেকে গ্যাসের মূল পাইপলাইন হুগলি পর্যন্ত আসবে। সেখান থেকে হাওড়া ও পূর্ব মেদিনীপুর হয়ে হলদিয়া যাবে। আর একটি লাইন হুগলি থেকে নদীয়া হয়ে উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুর ২নং ব্লক হয়ে আমডাঙায় আসবে। সেখান থেকে যাবে কলকাতায়।

আমডাঙার বিধায়ক রফিকার রহমান ছাড়াও পঞ্চায়েতের প্রতিনিধি ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে পাইপলাইন তৈরির বিষয়ে গেইলকে সব রকম সহযোগিতা করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। গেইলের তরফে জানানো হয়েছে, ওই পাইপলাইন মাটির ছ’ফুট নীচে দিয়ে যাবে। তাই জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন নেই। জমির মালিকদের কাছ থেকে ছ’মাসের জন্য জমি নিয়ে কাজ শেষ করা হবে। সেকারণে জমি ও ফসলের ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে।

আমডাঙা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুচিত্রা দাস মণ্ডল বলেন, ‘‌গ্যাসের পাইপলাইন তৈরি হলে আমডাঙার মানুষ সুবিধা পাবেন। এমনটাই আশ্বাস দিয়েছে গেইল কর্তৃপক্ষ। যে সব জমির নীচে দিয়ে পাইপলাইন যাবে, সেই জমির মালিকদের মোট দামের ২০ শতাংশ ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হবে। এছাড়া পাইপলাইন বসানোর জন্য ফসলের ক্ষতি হলে, সেই দামও দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আগামী দিনে চাষিদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।