রাজ্য

যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে পান–গুটকার পিক, অসন্তোষ হাওড়ায়

নামেই রয়েছে যাত্রী প্রতীক্ষালয়। কিন্তু যাত্রীদের সেখানে বসা–দাঁড়ানোর জো নেই। কারণ সেগুলির বেশিরভাগই ভবঘুরেদের দখলে। তাদের জামাকাপড় ঝোলানো। বসার জায়গায় পান–গুটখার পিকে লালচে রঙ নিয়েছে। জমেছে আবর্জনার স্তূপ। ফলে এই বর্ষার মধ্যেও হয় ছাতা মাথায় বা ভিজতে ভিজতেই বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীদের। এই অবস্থা হাওড়া শহরের বেশ কিছু যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের। অন্যান্য সময় হলে বাসের জন্য হয়তো ১০ মিনিট দাঁড়াতে হতো। কিন্তু এখন করোনার জন্য নানা বিধিনিষেধ জারি থাকায় এবং জ্বালানির বেলাগাম মূল্যবৃদ্ধির কারণে রাস্তায় বাস অনেকটাই কম। ফলে যাত্রীদের বাসস্ট্যান্ডে কখনও আধঘণ্টা, কখনও এক ঘণ্টারও বেশি অপেক্ষা করতে হচ্ছে। সরকারি যাত্রী প্রতীক্ষালয়গুলি যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনই সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তিও চরমে উঠেছে।

সালকিয়া স্কুল রোডে হুগলি ডকের গেটের উল্টোদিকে এরকমই একটি অপরিচ্ছন্ন এবং ভবঘুরেদের দখলে চলে যাওয়া যাত্রী প্রতীক্ষালয় রয়েছে। একটু এগিয়ে গেলে গোলাবাড়ি থানার কাছে একটি যাত্রী প্রতীক্ষালয়েরও একই দুরবস্থা। হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে বাস ধরতে এই বিধিনিষেধের সময়েও শ’য়ে শ’য়ে লোক অপেক্ষা করেন। এই চত্বরের তিনটি যাত্রী প্রতীক্ষালয়ই কার্যত ভবঘুরেদের দখলে। কখনও তারা সেখানে শুয়ে আছেন। আবার কোথাও রীতিমতো রান্না, খাওয়া, ঘুমের আয়োজন চলছে। বঙ্কিম সেতুর উপর যে জায়গায় বাস দাঁড়ায়, সেখানকার প্রতীক্ষালয়টি সব সময়ই ভবঘুরেদের আস্তানা হয়ে রয়েছে। অথচ হাওড়া পুরসভার তরফে নাইট শেল্টার, ভবঘুরেদের আশ্রয়স্থল গড়ার কথা আগেও একাধিকবার শোনা গিয়েছে।

এই বিষয়ে হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য ভাস্কর ভট্টাচার্য বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এই সমস্যা মেটাতে যাতে থানাভিত্তিক ব্যবস্থা করা যায়, সেজন্য পুলিস কমিশনারকে আবেদন করা হয়েছে। শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রতীক্ষালয়গুলির পরিচ্ছন্নতা ফিরিয়ে আনতে সাফাইয়ের উদ্যোগও নেবে পুরসভা।