রাজ্য

নামেই কন্টেনমেন্ট জোন, রোজই জমিয়ে বসছে বাজার

নামেই কন্টেনমেন্ট জোন, কিন্তু নেই কোনও নজরদারি। পুলিশ-প্রশাসন শুধু ‘কন্টেনমেন্ট জোন’ বোর্ড লাগিয়েই কাজ সেরেছে। তাই কার্যত বিনা বাধায় ওই এলাকায় বসছে বাজার। দূরত্ববিধি, মাস্ক, স্যানিটাইজেশনের কোনও বালাই নেই ভাটপাড়া পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে। গত কয়েকদিন ধরে ওই ওয়ার্ডের রথতলা পুরোনো বাজার এলাকা কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করেছে ভাটপাড়া পুরসভা। ঘটা করে পদ্মপুকুর রোডে ঢোকার মুখে বোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বহুকাল ধরেই এই এলাকায় বসে সবজি বাজার। কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা হওয়ার পরও বসছে সেই বাজার। ভাটপাড়া পুরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের মানুষজনের জন্য এই বাজারই একমাত্র সম্বল। তাই বাজার বসছে নিয়মিত। ভিড়ও হচ্ছে রোজ, তবে নেই কোনও নজরদারি। কন্টেনমেন্ট জোনের মধ্যেই বাজার, অথচ নেই দূরত্ববিধি। অনেকের মুখেই মাস্ক নেই, ফলে আতঙ্কিত এলাকাবাসী।

উত্তর ২৪ পরগনা জেলা রাজ্যের করোনা সংক্রমণে শীর্ষে। এই পরিস্থিতিতে এই জেলার বেশ কয়েকটি এলাকা মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে জেলা প্রশাসন। তার মধ্যে অন্যতম ভাটপাড়া পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড। তবুও এখানে বসছে বাজার। সকাল ৭টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত চলছে অবাধে ওই সবজি বাজার। তবে বিকেলে অবশ্য বন্ধ থাকছে রথতলা পুরোনো বাজার। কিন্তু সকালে করোনাবিধি উধাও কেন?

এই বিষয়ে ভাটপাড়া পুরসভার প্রশাসক অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় অন্ধকারে। তিনি জানালেন, ‘এই বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না, তবে ব্যাপারটা খতিয়ে দেখতে হবে’। উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক অবশ্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, এতদিন পুলিশ-প্রশাসন কেন নির্বিকার? চারদিন কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা হওয়ার পরও কিভাবে দিব্যি বাজার চলছে এই নিয়েই আতঙ্কে এলাকাবাসী।