রাজ্যে প্রায় দু’লক্ষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেল মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এদিনও রাজ্যে একদিনে তিন হাজারের বেশি ব্যক্তির শরীরে এই মারণ ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা গিয়েছে। একইসঙ্গে করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুর ক্রমবর্ধমান সংখ্যাও প্রশাসনিক কর্তাদের যথেষ্ট ভাবাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই মারণ ভাইরাসের বলি হয়েছেন আরও ৫৯ জন।
অথচ কলকাতা পুরসভা এলাকায় শুধুমাত্র একটি অঞ্চলকেই কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রায় ১০ দিন ধরেই কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ১–এর বেশি বাড়েনি। গত ৫ সেপ্টেম্বর কলকাতায় কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা শেষবার আপডেট করে রাজ্য সরকার। তখন থেকেই এই সংখ্যাটি অপরিবর্তিত রয়েছে। রাজ্যে যেখানে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে সেখানে কনটেইনমেন্ট জোন কী করে অপরিবর্তিত থাকে? উঠছে প্রশ্ন।
পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, শনিবার পর্যন্ত রাজ্যে করোনা আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ৯৯ হাজার ৪৯৩ জন। তার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩ হাজার ১৬১ জনের কোভিড ধরা পড়েছে। তবে এই মুহূর্তে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা ২৩ হাজার ৫২১ জন, যা গত দিনের তুলনায় ৬০ জন বেশি। আর উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় মারা গিয়েছেন সর্বোচ্চ ১৬ জন। এটা মোট বলির মধ্যে রয়েছে।
কনটেইনমেন্ট জোন মাসের শুরুতেও বেলেঘাটা, বড়িশা, আমহার্স্ট স্ট্রিট এবং চেতলার মতো বেশ কয়েকটি এলাকা থাকলেও এখন সেগুলি তালিকায় থেকে বাদ পড়েছে। শুধুমাত্র মধ্য কলকাতার গিরিশ পার্কের উমেশ দত্ত লেনকেই কনটেইনমেন্ট জোনের তালিকায় রাখা হয়েছে। রাজ্য সরকারের প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত সারা রাজ্যে ২৯৪৮টি কনটেইনমেন্ট জোন রয়েছে। নিয়ম হল, এক সপ্তাহের মধ্যে একই পাড়া থেকে একাধিক করোনা আক্রান্তের হদিশ পাওয়া মেলে তবে ওই এলাকাকে কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় সর্বাধিক ১৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। কলকাতার ক্ষেত্রে সংখ্যা ১২। পশ্চিম মেদিনীপুরে ৭ জন, হুগলি এবং হাওড়ায় ৪ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩ জন, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদ এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে ২ জন, পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, বীরভূম, মালদা, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং ও নদিয়ায় ১ জন করে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
