মঞ্চের নাম–নবান্নের সভাঘর। উপস্থিত রাজ্যের শাসক–বিরোধীরা। আর বৈঠক শেষে শাসক–বিরোধী এক হয়ে গেল। তবে এখনও পৃথক পৃথক রাজনৈতিক দল আছে। করোনা–লকডাউনের জেরে আর্থিক সঙ্কটের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবাইকে পাশে নিয়ে চলার বার্তা দিতে বুধবার সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন। আর সেখানেই সব দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সব দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিটি গড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কমিটিতে রয়েছেন তৃণমূলের পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিজেপি’র দিলীপ ঘোষ, সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী–সহ প্রতিটি দলের নেতারাই। তবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়ছে রাজ্যে লকডাউনের সময়সীমা। সম্পূর্ণ লকডাউন নয়। নবান্ন সূত্রে খবর, এখনকার মত অর্থাৎ লকডাউন ৫.০ মতোই ছাড় থাকবে পরবর্তীতেও। খুব শিগগিরই নতুন নির্দেশিকা জারি করবে রাজ্য সরকার।
তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে সর্বদলীয় বৈঠক। বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমফানের পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে শাসক–বিরোধীদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটি রিপোর্ট দেবে। ক্ষতিপূরণ পাওয়ার থেকে কেউ বঞ্চিত হলে আবেদন করুন। ত্রাণ নিয়ে দলবাজির কোনও জায়গা নেই। আমার কাছে ২,১০০ অভিযোগ এসেছে। আমি সেগুলি দেখছি। আমি নিজে আমার দলের চারজনকে তাড়িয়েছি। জেলাশাসক, বিডিওদের বলছি আপনাদের এক সপ্তাহ সময় দিচ্ছি। সব কিছু দেখে জেনুইন কেস দেখে তালিকা তৈরি করুন। ক্ষতিপূরণ থেকে যেন কেউ বাদ না যায়।’
এদিনের বৈঠকে ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি, গরীব কল্যাণ যোজনা নিয়েও কথা হয়েছে। সুন্দরবনের বিষয়ে কথা হয়েছে। নীতি আয়োগকে চিঠি লেখা হবে, যাতে টিম পাঠিয়ে একটা মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, করোনা যাতে ছড়িয়ে না পরে তার জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। রাজ্যের স্বার্থে সবাই যাতে এক সুরে কথা বলে, সেটা দেখতে হবে। বৈঠক শেষে সুজন চক্রবর্তী জানান,’ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি সম্পর্কে বলেছি। সরকার স্বীকারও করেছে। একশো দিনের কাজ যেন পরিযায়ী শ্রমিকদের অবশ্যই দেওয়া হয়।’ বৈঠক শেষে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘চার ঘণ্টার বৈঠক হয়েছে। আমাদের উপর পুলিশি অত্যাচার নিয়ে বলেছি। পরামর্শও দিয়েছি।’