বাংলাদেশ

বুধবার থেকে কঠোর লকডাউন

মঙ্গলবার বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা সর্বোচ্চ হল ৮৭ জন। এই দিনেই কঠোর লকডাউনের নির্দেশনা জারি করল মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ। পয়লা বৈশাখ জাঁকজমকের সঙ্গে পালনের পরিবর্তে বাঙালি আবদ্ধ হবে ঘরের চার দেওয়ালে। পয়লা বৈশাখ, বসন্ত আর নবান্ন হারিয়ে গেছে করোনাভাইরাসের ছোবলে। বুধবার ১৪ এপ্রিল থেকে সরকারি ও বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহণ এবং মানুষের চলাচল বন্ধ রেখে আট দিনের কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে করোনার লাগামহীন আক্রমণ চলছে। আগে করোনা রুখতে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল সাতদিনের লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। কিন্তু তা সফল হয়নি। তখন থেকেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বারবার বলে আসছিলেন, করোনার ভাইরাস মানবদেহে ১৪ দিন পর্যন্ত লুকিয়ে থেকে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। করোনার লাগাম টানতে কমপক্ষে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন প্রয়োজন।
লকডাউনে বন্ধ থাকবে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ উড়ান। করোনা সংক্রমণ রুখতে ৩ এপ্রিল থেকে যুক্তরাজ্য ছাড়া ইউরোপের বাকি সকল দেশের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। সোমবার ঘোষিত ১৪ থেকে ২১ এপ্রিলের কঠোর লকডাউনে বিধি–নিষেধ মানাতে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীকে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
এবার লকডাউন কার্যকর করতে আটঘাট বেঁধে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। যে কোনও মূল্যে লকডাউন বাস্তবায়ন করতে চায় হাসিনা সরকার। এবারের লকডাউনে সাধারণ মানুষের চলাচলে প্রয়োজন হবে মুভমেন্ট পাস। যুক্তিসংগত কারণ দেখিয়ে অ্যাপে আবেদনের পর মিলবে ‘মুভমেন্ট পাস’। মুদি দোকানে কেনাকাটা, কাঁচা বাজার, ওষুধপত্র, চিকিৎসা, চাকরি, কৃষিকাজ, পণ্য পরিবহণ ও সরবরাহ, ত্রাণ বিতরণ, পাইকারি/খুচরা ক্রয়, পর্যটন, মরদেহ সৎকার, ব্যবসা ও অন্যান্য ক্যাটাগরিতে দেওয়া হবে এই পাস।