In a video conference with district governors from Navanna, Chief Minister Mamata Banerjee directed to use more people in the 100-day work project. This time the rural development work has come to a standstill due to the lockdown. The Chief Minister wants to resume that work. The Chief Minister informed today that there is no difficulty in starting the work of Fisheries or Irrigation Department. He asked to complete the work of housing scheme and rural road scheme before Pujo.
রাজ্য

‘‌গ্রাম বাংলার জাগরণ ঘটাতে হবে’‌

বুধবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে আরও বেশি দোকানপাট খোলার কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী তিনি গ্রামীণ অর্থনীতি চালু করার কথাও জানান। আগে নবান্ন থেকে জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে আরও বেশি মানুষকে ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার লকডাউনের জেরে গ্রামীণ উন্নয়নমূলক কাজ থমকে গিয়েছে। সেই কাজ ফের শুরু করতে চান মুখ্যমন্ত্রী।
আজ করোনা আবহে লকডাউনের চতুর্থ পর্বের সাংবাদিক বৈঠকে অন্যান্য সামাজিক প্রকল্পকেও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ব্যবহার করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‌করোনার মধ্যেও মানুষকে আয়ের পথ বের করে দিতে হবে। আমরা চাইছি আরও দোকানপাট খুলুক। করোনাভাইরাস থাকবে। কিন্তু তার মধ্যেই গ্রামীণ জাগরণ ঘটাতে হবে।’
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বুধবার বৈঠকে বসেছেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সামাজিক দূরত্বের নিয়ম ও মাস্ক পরার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জনবহুল এলাকায় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। অন্যান্য নিয়মও মেনে চলতে হবে। গ্রামীণ অর্থনীতিকে চালু করতে একশো দিনের কাজ শুরু করতে হবে। এই কাজে ভিনরাজ্যের আটকে পড়া শ্রমিকদেরও নিয়োগ করতে হবে। জেলাশাসকরা বিষয়টি দেখবেন বলে জানান তিনি।
মৎস্য বা সেচ দপ্তরের কাজ শুরু করতে যে কোনও অসুবিধা নেই তা আজ জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। পুজোর আগে আবাস যোজনা এবং গ্রামীণ সড়ক যোজনার কাজ শেষ করতে বলেছেন তিনি। লকডাউনের মধ্যে ট্রেন অথবা বাসে করে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজের রাজ্যে ফেরানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‌যাঁরা বাইরে থেকে আসছেন, তাঁরা কিছুদিন বিশ্রাম নিন। আমরা তাঁদের লালারস পরীক্ষা করব। তার আগে তাঁরা আলাদা থাকুন, পরিষ্কার থাকুন। প্রত্যেকেই মনে রাখবেন বাড়িতে থাকাই নিরাপদ।’‌