আগামী ৩ মে’র পরও দেশের করোনা সংক্রমিত এলাকায় লকডাউনের মেয়াদ বাড়বে। দেশের রেড জোনগুলিতে এখনই উঠছে না লকডাউন। সোমবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে এই ইঙ্গিত দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও বৈঠকে মোদী জানান, দেশের করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকলেও চিন্তা রয়েছে হটস্পটগুলিকে নিয়ে।
করোনা নিয়ন্ত্রণে দেশে লকডাউনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৩ মে। তার আগেই আজ ভিডিও কনফারেন্সে দেশের একাধিক মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই নিয়ে একটি পর্যালোচনা বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। ওই বৈঠকে তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি নিয়ে তেমন চিন্তা করার কিছু নেই। অর্থনীতির ওপরে জোর দেওয়ার পাশাপাশি করোনার বিরুদ্ধে আমাদের জোরদার লড়াই চালাতে হবে। আমাদের প্রয়োজন দো গজ দুরি বজায় রাখা এবং মাস্ক পরা। আগামী দিনও মাস্ককে আমাদের জীবনের অঙ্গ করে নিতে হবে।
৩ মে’র পর ‘গ্রিন জোন’ এলাকাগুলিতে কী পরিস্থিতি থাকবে সেই ব্যাপারে এখনও কোনওরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে করোনামুক্ত অঞ্চলগুলিতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। কারণ এদিনের বৈঠকে ন’জন মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে পাঁচজন লকডাউন তোলার পক্ষেই মত দিয়েছেন। অধিকাংশ মুখ্যমন্ত্রীই এখনই গণপরিবহণ চালু না করার কথা বলেছেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে। স্কুল–কলেজ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শপিং মল বন্ধ রাখা, ধর্মীয় বা যে কোনও ধরনের জমায়েতের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি রাখার পক্ষপাতী মুখ্যমন্ত্রীরা।
আর্থিক লেনদেন–সহ অন্যান্য কাজকর্ম আপাতত শুরু হবে গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনে। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বন্ধই থাকবে। তবে ব্যক্তিগত গাড়ি চলবে। দেশের করোনা রেড জোনগুলিকে গ্রিন জোনে রূপান্তরিত করার দায়িত্ব রাজ্য সরকারগুলির বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। এদিন বৈঠকে লকডাউন বাড়ানোর পক্ষে সায় দেয় ওড়িশা ও মেঘালয়। বিদেশে আটকে পড়েছেন বহু ভারতীয়। তাঁদের উদ্ধারের বিষয়েও এদিন মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধারের বিষয়টি অবশ্যই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। যদিও একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে গেল যে ৩ মে’র পরেও দেশের অধিকাংশ বড় শহরে লকডাউন উঠবে না।
