দত্তপুকুরের বিস্ফোরণস্থলের নিকটবর্তী বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় ১ হাজার ৬০০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, দত্তপুকুরের মোচপোল, কাঠুরিয়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে আরও তিনটি বাজির গুদামের হদিস পাওয়া গিয়েছে। ৫-৬টি গাড়ি করে উদ্ধার হওয়া বাজি নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। নীলগঞ্জ থেকেই ২০০ কেজি অবৈধ বাজি উদ্ধার হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, বাড়ি ভাড়া নিয়ে বেআইনি বাজির কারবার ফেঁদে বসেছিল কেরামত আলি। গুদামে বিস্ফোরণের পরেও মজুত ছিল প্রচুর রাসায়নিক। পাশেই আরও একটি বন্ধ ঘরে ঠাসা ছিল বাজি।
ঘন জনবসতি এলাকায় এ ধরনের গুদাম থাকায় আতঙ্কিত ছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। অভিযোগ, এর আগেও গুদাম ভাড়া করে বাজির কারবার চালাত কেরামত। এমনকি বস্তি এলাকায় বিপজ্জনক ব্যবসা নিয়ে আপত্তি জানালে কেরামত আলি হুমকিও দিত বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, দত্তপুকুরের মোচপোল গ্রামে রমরমিয়ে চলত কেরামত আলির বেআইনি বাজি কারবার। বিস্ফোরণস্থলের কয়েকশো মিটার দূরে মজুত করা ছিল বাজি ও রাসায়নিক। ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেরামত ও তার ছেলে-সহ ৯ জনের মৃত্যুর ২ দিন পর, মোচপোল গ্রামে ফের মিলল বাজির পাহাড়ের খোঁজ।
অন্যদিকে, এই বিস্ফোরণকাণ্ডে হত এবং আহত নাবালকদের বিস্তারিত তথ্য চেয়ে রাজ্যের রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। আগামী তিনদিনের মধ্যে রাজ্যকে এবিষয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকী যে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, সেই কারখানাটির আদেও কোনও সরকারি অনুমতি ছিল কি না, সেই তথ্যও জানতে চাওয়া হয়েছে।