আবহাওয়া বা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আগের মতো শীতকাল এখন আর হয় না। একই সাথে ঋতুগুলোর বৈশিষ্ট্যেও পরিবর্তন আসার প্রভাব পড়ছে মানবশরীরেও। এখন কারও ঠোঁট ফাটছে, আবার কারও কোষ্ঠকাঠিন্য হচ্ছে। কারও আবার চামড়া শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে দ্রুত।
শরীরের চামড়ার তুলনায় ঠোঁট বেশি ফাটে, কারণ এটি মূলত চামড়ার উপরিভাগের খুব পাতলা স্তর। শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি হলে শরীর থেকে জলীয় অংশ কমে যায় এবং তখন চামড়ার এই স্তরটি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত অর্থাৎ শুকিয়ে ফেটে যায়। অনেক সময় ঠোঁটের অবস্থান নাকের ঠিক নিচে থাকার জন্য নিঃশ্বাসের সাথে বেরিয়ে আসা গরম বাতাসের প্রভাবেও ঠোঁট শুষ্ক হয়ে ওঠে।
এছাড়াও অনেক বেশি চা বা কফি পান করলে ঠোঁট শুকিয়ে যেতে পারে। ক্যাফেইন যুক্ত পানীয় জলশূন্যতা সৃষ্টি করতে পারে বলে চা বা কফি পান করার পর তৃষ্ণা পেতে পারে। অনেক বেশি ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় পান করলে আপনার ঠোঁট খসখসে হয়ে যায় বা ফেটে যায়।
অনেক সময় উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট, কিডনি বা ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত কিছু ঔষধও শরীর থেকে জল বের করে নেয় এবং সে কারণেও অনেকের ত্বক বিশেষ করে ঠোঁটে প্রভাব পড়ে। কিছু লিপস্টিক ও লিপবাম ব্যবহারের ফলে আপনার ঠোঁট শুষ্ক হয়ে খসখসে হয়ে যেতে পারে। তাই ভালো মানের লিপস্টিক ব্যবহার করুন। ঠোঁট চাটলেও ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। লালাতে যে এনজাইম থাকে তা ত্বককে শুষ্ক করে দেয়। তাই ঠোঁট চাটার অভ্যাস পরিত্যাগ করুন।