আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সুস্পষ্ট নিম্নচাপ প্রথমে পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। এরপর আরও একটু ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। বর্তমানে যার অবস্থান দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে। আরও ঘনীভূত হয়ে এরপর উত্তর পশ্চিমে এগিয়ে গিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। শনিবার সকালে পৌঁছে যাবে উত্তর ওড়িশা ও দক্ষিণ অন্ধ্র উপকূলের কাছে।
পরিস্থিতি পর্যালোচনায় দিল্লিতে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। মুম্বই থেকে কলকাতা ফিরেই নবান্নে জরুরি বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিমি বেগে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলায় উপকূলে ভারী বৃষ্টি, ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর প্রভাবে শনিবার, রবিবার, সোমবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গে জেলাগুলি। শুধুমাত্র শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে। দুই ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। রবিবার বাড়বে বৃষ্টি। দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর সহ হাওড়া এবং কলকাতায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে।
ইতিমধ্যেই কলকাতা-সহ ৭ জেলায় এনডিআরএফের ৮টি দল মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত দিঘা, মন্দারমণিতে পর্যটকদের সমুদ্রে নামায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় শনিবার পর্যন্ত ৫৩টি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও বাতিল করা হয়েছে হাওড়া থেকে ওড়িশা, দক্ষিণ ভারতগামী একাধিক ট্রেন।