আফগানিস্তান দখল করেছে তালিবান। রাজপথে টহল দিচ্ছে বন্দুকধারী তালিবান সদস্যরা। সূত্রের খবর, তালিবানের পাশাপাশি কাবুলে ঢুকে পড়েছে বেশ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনও। ইসলামিক স্টেট, জৈশ–ই–মহম্মদ এবং লস্কর–ই–তৈবার মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি আফগানিস্তানে ঢুকে পড়েছে। তালিবান যে এই বিদেশি জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রবেশ সম্পর্কে একেবারে অজ্ঞ তা বলা যাচ্ছে না। কাবুলের একাধিক জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে এই জঙ্গি সংগঠনগুলি।
আমেরিকার সঙ্গে তালিবানদের হওয়া চুক্তি অনুযায়ী, তালিবানরা কথা দিয়েছিল তাঁরা কোনওভাবেই জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে দেবে না। তাই মনে করা হচ্ছে কাবুলে প্রবেশকারী এই সব বিদেশি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে সরাতে কাজ শুরু করবে তালিবান। তবে তাঁর আগেই এই গোষ্ঠীগুলি একাধিক জায়গায় কাজ শুরু করে দিতে পারে।
তবে কাবুলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই তালিবানদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।
আইএসআইএস, জৈশ, লস্কর জঙ্গিদের সন্ত্রাসের হাত থেকে তালিবানরা কীভাবে কাবুলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে তার দিকে নজর রাখছে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলিও। ফলে বলা যেতে পারে কাবুলের মসনদে বসার পর এবার আরও বড় পরীক্ষার মুখোমুখি তালিবান।
জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠতে না পারে তা নিয়ে তালিবানকে সতর্ক রয়েছে চিনও। ইউনাইটেড নেশনসের নিরাপত্তা পরিষদে চিনা আধিকারিক গেং সুয়াং বলেন, ‘আমরা আশা করি তালিবানরা তাঁদের প্রতিশ্রতি পূরণ করবে।’ উল্লেখ্য, গতকালই তালিবানের সঙ্গে আগ বাড়িয়ে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছে চিন।