কৃষকদের প্যাকেজ এবং চাকরি বা ব্যবসায় যুক্ত মধ্যবিত্তকে আয়করে ছাড়। আগামী বাজেটে এই লক্ষ্য নিয়েই অগ্রসর হবে মোদী সরকার। আগামী বছর একাধিক রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বাজেট ঘোষণায় থাকতে পারে বেশ কিছু ভোট উপহার। অর্থমন্ত্রক সূত্রে খবর, আগামী ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে বাজেট প্রস্তুতি। যা নিয়ে জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, প্রায় একমাস আগেই এবার বাজেটের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে।
২০২২ সালের বাজেট মোদী সরকারের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একদিকে থমকে থাকা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে হবে। আবার ভোটারদের মন পেতে জনমুখী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। একটানা দু’বছর করোনার কারণে প্রায় থমকে গিয়েছে অর্থনীতি। ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই ১৩০ কোটি দেশবাসীকে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছে মোদী সরকার। তাই করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ এলেও ভ্যাকসিনের দৌলতে তা দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো কালান্তক হবে না বলেই আশা করছে সরকার।
আবার সামনের বছর একঝাঁক রাজ্যের ভোট। সেই কারণে মানুষকে কিছুটা সুরাহা দিতে এখন থেকেই দু’টি পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রথমত কৃষকদের সন্তুষ্ট করা। আর দ্বিতীয়ত মধ্যবিত্তকে খুশি করা। ভোটের জন্য আগামী বছর উত্তরপ্রদেশ ও পাঞ্জাবে কৃষক আন্দোলন যে তীব্র হয়ে উঠবে তা বিলক্ষণ বুঝতে পারছে মোদী সরকার।
আবার করোনায় জীবিকা ও কর্মসংস্থানে ধাক্কা খাওয়া মানুষ আশা করছে, সরকার কিছু সুরাহার ব্যবস্থা করবে। ভোট ও অর্থনীতি— দুই চাপেই তাই কৃষকদের একটি প্যাকেজ এবং মধ্যবিত্তকে আয়করে ছাড় দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দু’প্রকার আয়কর ছাড়ের প্রক্রিয়া আগেই ঘোষিত হয়েছিল। ক্রমেই লগ্নির জন্য আয়কর ছাড় না নিয়ে সরাসরি আয়কর ধাপের সুবিধা নেওয়ার বিষয়টি বেশি করে গ্রহণযোগ্য করতে চাইছে সরকার। তাই এই সুযোগ যারা নেবে তাদের আরও বেশি আয়কর ছাড় দেওয়া হতে পারে।