ব্রেকিং নিউজ রাজ্য

ইডি হেফাজতে কেমন আছেন অনুব্রত

মঙ্গলবার রাতে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল দিল্লি পৌঁছতেই ইডি-র বিচারক রাকেশ কুমারের বাড়িতেই চলে শুনানি পর্ব। টানটান উত্তেজনা ছিল মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত দেড়টা নাগাদ প্রথমে ভার্চুয়ালি হাজির করা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। তারপর সশরীরে দিল্লির বিচারকের বাড়িতেই হাজিরা দিতে হয় বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে। মধ্যরাত পর্যন্ত চলে শুনানি পর্ব। শুনানি শেষে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের বিচারক রাকেশ কুমার রায় দেন আগামী ১০ মার্চ অবধি ইডি-র হেফাজতেই থাকবেন তিনি।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের বিশেষ সিবিআই আদালতে গরু পাচার মামলায় শুনানি শুরু হয়। অনুব্রতকে ১৪ দিনের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবী। তাতে আপত্তি জানান অনুব্রতের আইনজীবী মুদিত জৈন। শেষপর্যন্ত তাঁকে আগামী ১০ মার্চ ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে অনুব্রতর সঙ্গে রোজ দেখা করতে পারবেন তাঁর আইনজীবী। অনুব্রতর আইনজীবী এদিন আদালতকে জানান, তাঁর মক্কেলের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে। সেই বিষয়টির ওপর যেন নজর দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, দিল্লি যাত্রা এড়াতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। গত শনিবার সেই আর্জি খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ গরুপাচার কাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে কলকাতায় রওনা দেয় আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। এদিন অনুব্রত মণ্ডলের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের এক জন ইনস্পেক্টর, তিন জন সাব ইনস্পেক্টর এবং ১২ জন সশস্ত্র পুলিশের একটি বিশেষ বাহিনী।

কলকাতায় যাওয়ার পথে শক্তিগড়ে তাঁর গাড়ি থামে। শক্তিগড়ে একটি রেস্তরাঁতে কচুরি, ছোলার ডাল, ল্যাংচা, রাজভোগ দিয়ে ব্রেকফাস্ট করেন অনুব্রত মণ্ডল। কলকাতা পৌঁছলে জোকা ইএসআই হাসপাতাল তাঁকে ফিট সার্টিফিকেট দেওয়ার পরই তাকে দিল্লিতে নিয়ে আসেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থা।