রেল শহর খড়গপুরের হাত ধরে ফের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে করোনার আক্রান্তের হদিশ মিলল। খড়গপুরের দুই মহিলার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে রবিবার স্বাস্থ্য দপ্তর ঘোষণা করে দুজনেই করোনা পজেটিভ। এরপরই তৎপরতা শুরু হয় স্বাস্থ্য দপ্তরের। নির্দেশ পেয়ে মেদিনীপুর শহরে বড় একটি চার্চ মেলা স্যানিটাইজেশন শুরু করে পৌরসভা।
পূর্বেও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর শহরের মাধ্যমেই করোনার সংক্রমণ ছড়ায় জেলাতে। রেল জংশন হওয়ায়, খড়গপুর শহরে যাত্রীদের অবাধ প্রবেশের কারণে করোনা আক্রান্তের খোঁজ মেলে। গত শনিবার খড়গপুর শহরের দুই মহিলার শারীরিক সমস্যার কারণে করোনা পরীক্ষা করা হয়। রবিবার দুজনেই পজিটিভ বলে জানতে পারে স্বাস্থ্য দপ্তর। সাথে সাথে শুরু হয়ে যায় তৎপরতা।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার সৌম্য শংকর সারেঙ্গী সোমবার বলেন, “জেলাতে তৎপর রয়েছে সকলেই। মেদিনীপুর ও ঘাটাল মিলে ৬০ বেডের দুটি ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সকলকেই মাস্ক ব্যবহার ও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।”
গত দুই সপ্তাহ আগেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা করোনা শূন্য বলে ঘোষণা করেছিল স্বাস্থ্য দপ্তর। ২০২০ সালের পর এই প্রথম করোনা শূন্য হয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুর। মাত্র দুই সপ্তাহ স্বস্তিতে কাটলেও এর করোনার আক্রমণ জেলাতে।
উৎসবের মুহূর্তে বড়দিন থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবথেকে বড় চার্চ মেলা শুরু হয়েছে রবিবার থেকে। যেখান থেকে করনার সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশে সোমবার সকাল থেকেই সেই মেলাকে স্যানিটাইজ করার উদ্যোগ নেয় মেদিনীপুর পৌরসভা।
পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান বলেন, “জেলাতে দু’জন মহিলা করোনা সংক্রমিত হয়েছে। তাই এই মুহূর্তে এই মেলা থেকে সংক্রমণ যাতে বৃহৎ আকার না ধারণ করতে পারে তার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে প্রতিদিন পৌরসভার কর্মীরা পুরো মেলা স্যানিটাইজ করবে।”
You must be logged in to post a comment.