কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই ঘোষণা করে মোদির আবেদন, কৃষকরা এবার চাষের কাজে ফিরে আসুন। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণায় আন্দোলনরত কৃষকরা খুশি হলেও কৃষক আন্দোলনের অন্যতম নেতা রাকেশ টিকাইত জানিয়ে দিয়েছেন, পার্লামেন্টে যতক্ষণ না পর্যন্ত আইন বাতিল হচ্ছে ততক্ষণ তাঁরা আন্দোলনের পথ ছাড়বেন না। কাগজে-কলমে এই কৃষি আইন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না কৃষকরা।
সংবিধানের ২৪৫ ধারায় সংসদের আইন বাতিলের ক্ষমতা রয়েছে। ভারতে কোনও আইন বাতিল করতে গেলে, প্রথমে বিলটি সংসদে পেশ করতে হয়। এরপর তার উপর আলোচনা হয়। ভোটাভুটি হয়। তারপর আইন মন্ত্রকে সংশোধনের প্রস্তাব পাঠাতে হয়। মন্ত্রক আইনি দিকটি বিচার করেন। তারপর সেই বিলটি ফের সংসদে পেশ করা হয়। বিলটি পেশ করেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের মন্ত্রী। বিলটি নিয়ে সংসদের উভয়কক্ষে আলোচনা হয়। আবার ভোটাভুটি হয়। ভোটে সংসদের উভয়কক্ষে বিলটি পাশ হলে তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলে বিলটি বাতিল হয়।