বাংলাদেশ

বাংলাদেশে খুলে গেল কলকারখানা

করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার হু হু করে বাড়ছে বাংলাদেশে। তা রুখতে চলছে কঠোর লকডাউন। কিন্তু আর্থিক লোকসানের বোঝা মাথায় যাতে চেপে না বসে, তার জন্য রবিবার, ১ আগস্ট থেকে খুলে দেওয়া হল কলকারখানা। মূলত যে সব কারখানায় রপ্তানিজাত সামগ্রী তৈরি হল, সেসব খোলার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে প্রশাসন।
ঢাকায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, রবিবার থেকে দেশের সমস্ত রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা খুলে দেওয়া হবে। সকলে যেন কাজে যোগ দেন। ঢাকায় বস্ত্র-সহ অন্যান্য শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ার খবরে সড়ক ও নৌপথে বেড়ে যায় ঢাকামুখী মানুষের ভিড়।

লকডাউনের নবম দিন, শনিবার স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ফরিদপুর জেলার গোয়ালন্দ সংলগ্ন দৌলতদিয়া এবং মাদারিপুর জেলার বাংলাবাজার ঘাটে ঢাকামুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড়ের ছবিতে আশঙ্কা বেড়েছে। পদ্মায় উত্তাল ঢেউ থাকায় লঞ্চ এড়িয়ে ফেরিতে গাদাগাদি করে নদীপথে পাড়ি দিয়েছেন ঢাকামুখী যাত্রীরা।

কষ্ট করে, ঝুঁকি নিয়ে বস্ত্রশিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের এখনই কারখানার কাজে যোগ দিতে হবে না বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি শ্রমিকদের ধাপে ধাপে ৫ তারিখের পর আসার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের প্রতিশ্রুতি, ‘‌কেউ চাকরি হারাবেন না।’‌ কাজে যোগ দিতে করোনার ঝুঁকি নিয়ে, কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে পোশাকশ্রমিকদের ঢাকার উদ্দেশে যাত্রার বিষয়টি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এ কথা বলেন তিনি।