জেলা

ভাইয়ের সাইকেল নদীতে, মৃত্যু দাদার

ভাই এর সাইকেল উদ্ধার করতে গিয়ে সাত সকালে নদীতে তলিয়ে গেল দাদা। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে আজ রবিবার বাঁকুড়ার মেজিয়া থানার কাদাঘাটি সেতুর কাছে। জলে তলিয়ে নিখোঁজ হয়ে পড়া ব্যাক্তির নাম অশোক চ্যাটার্জী। বাড়ি স্থানীয় কানসাড়া গ্রামে। তল্লাশির জন্য তলব করা হয় বিপর্যয় ব্যবস্থাপন বাহিনীকে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে কাদাঘাটি নদীর উপর একটি সেতু থাকলেও বছর তিনেক আগে বর্ষায় সেতুটি ভেঙে যায়। চলতি বছর সেই সেতু পুনঃনির্মাণের কাজ শুরু হলেও নানা টালবাহানায় সেই সেতু তৈরীর কাজ এখনো শেষ হয়নি। তাই নদীগর্ভ দিয়ে নদী পেরিয়েই কানসাড়া গ্রামে নিজের বাড়ি থেকে অন্যান্য দিনের মতো শনিবার সাইকেলে করে দুর্লভপুরের একটি বেসরকারী স্কুলে শিক্ষকতার কাজে যান স্থানীয় বাসিন্দা ফাল্গুনি চ্যাটার্জী। স্কুলের কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে কাদাঘাটি নদী পেরোনোর সময় আচমকাই জলে তলিয়ে যায় তাঁর সাইকেল। কোনোক্রমে প্রাণে বাঁচেন বেসরকারী স্কুলের শিক্ষক ফাল্গুনি চ্যাটার্জী।

বিষয়টি বাড়িতে গিয়ে বলায় রবিবার সকালে নদীর জলে তলিয়ে যাওয়া সাইকেল উদ্ধার করতে যান তার দাদা অশোক চ্যাটার্জী। কাদাঘাটি সেতুর কাছে নদীতে নেমে সাইকেল খোঁজার সময় আচমকাই পা পিছলে গভীর জলে পড়ে যান অশোক চ্যাটার্জী। এরপর চেষ্টা করেও তিনি আর বেঁচে ডাঙায় উঠতে পারেননি। খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নদীগর্ভে তল্লাশি শুরু করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় মেজিয়া থানার পুলিশও। তলব করা হয় ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিমকেও। দীর্ঘসময় ডুবুরিরা তল্লাশি চালিয়ে জলের তলা থেকে উদ্ধার করে মৃতদেহটি। পরে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।

বিশেষ সংবাদদাতা: মলয় সিংহ, বাঁকুড়া