রাজ্য

ভাইফোঁটার দিন থেকে ‘দুয়ারে রেশন’

একুশের নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সকলের বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেবেন। কথা রাখলেন তিনি। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‌ভাইফোঁটা থেকে দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু হবে।’‌ তাঁর ঘোষিত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, নতুন কৃষক বন্ধু প্রকল্প আগেই চালু হয়েছে। এবার দুর্গাপুজো–কালীপুজোর পরেই বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবে রেশন। চালু হবে দুয়ারে রেশন প্রকল্প।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, সরকারের কাজকর্মকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্যজুড়ে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি চালু হয়েছিল। গোটা রাজ্যে শিবির খোলা হয়েছিল ৩২,৮৩০টি। শিবিরে আসেন ২ কোটি ৭৫ লক্ষ মানুষ। ১ কোটি ৭৭ লক্ষ মানুষ আবেদন করেছিলেন। দেড় কোটি মানুষ কাজ পেয়েছিলেন। আগামী ১৬ আগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে ১৭,১০৭টি দুয়ারে সরকার শিবির খোলা হবে। যেখানে ১৮টি স্কিমের সুবিধা পাওয়া যাবে।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির কোনও অবকাশ নেই বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছেন। এই নিয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে ফর্মের কারচুপি সহ নানারকম অভিযোগ আসার প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‌একমাত্র দুয়ারে সরকার শিবিরেই বিনামূল্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের বৈধ ফর্ম পাওয়া যাবে। সেই ফর্মে একটি ইউনিক নম্বর থাকবে, যা নকল করা যাবে না। সেই কম্পিউটার জেনারেটেড নম্বর মিলিয়ে দুয়ারে সরকার শিবিরের আধিকারিকেরা ফর্ম জমা নেবেন। কাজেই বাইরে থেকে কেউ ফর্ম জোগাড় করলে, তা গ্রহণ করা হবে না।’‌

তিনি জানান, ২৫ থেকে ৬০ বছরের মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। কারও কোনও অভিযোগ থাকলে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে তা সরাসরি জানানো যাবে। টোল ফ্রি নম্বর ১০৭০ এবং ২২১৪ ৩৫২৬ নম্বরে সাধারণ মানুষ দুয়ারে সরকার শিবির সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যা বা অভিযোগের কথা জানাতে পারবেন। ওই ফোন নম্বরে ১৫টি লাইন রয়েছে।

মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদি রাজ্যের সব বিডিও, এসডিও এবং জেলাশাসকদের ভার্চুয়াল বৈঠকে নির্দেশ দেন, যেন দুয়ারে সরকার শিবির নিয়ে কোনও অভিযোগ না ওঠে। একটা হেল্প ডেস্ক রাখতে হবে। কারও ফর্ম পূরণে অসুবিধা হলে তারা সাহায্য করবে। কেউ কোনওভাবে টাকা তোলার চেষ্টা করলে পুলিস পদক্ষেপ করবে। সিনিয়র অফিসাররা নিয়মিত ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন।