বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে জেহাদি সংগঠনগুলি। নব্য জেএমবি ও ইসলামিক স্টেটের গতিবিধিও বেড়েছে পদ্মাপারে বলে একাধিক গোয়েন্দা রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এই সময়ে সরকারি কার্যালয় ও নিরাপত্তারক্ষীদের উপর ড্রোন হামলার পরিকল্পনা ফাঁস হওয়ায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এই নাশকতা করে বিপুল মানুষ মারার ছক করা হয়েছে।
সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা হয়েছে নব্য জেএমবির সদস্য ফোরকান ওরফে জাহিদ হাসান ওরফে বোমা জাহিদকে। তাকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। জানা গিয়েছে, জাহিদের নির্দেশে গত কয়েক বছরে ১০/১২টি পুলিশ বক্সে বোমা হামলার চেষ্টা চালায় নব্য জেএমবির সদস্যরা। বুধবার ঢাকায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) প্রধান পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক মহম্মদ আসাদুজ্জামান।
উল্লেখ্য, সিক্রেট অ্যাপ ব্যবহার করে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দিত জাহিদ হাসান ওরফে রাজু ওরফে ইসমাঈল হাসান ওরফে ফোরকান ভাই। তারই নির্দেশে গত কয়েক বছরে ১০-১২টি পুলিশ বক্সে বোমা হামলার চেষ্টা চালায় নব্য জেএমবির সদস্যরা। এই ফোরকান ড্রোন বানানোর পরিকল্পনা করেছিল। ড্রোনের সঙ্গে বিস্ফোরক যুক্ত করে হামলার পরিকল্পনার পাশাপাশি নব্য জেএমবির সামরিক শাখার প্রধান নিযুক্ত হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হামলার পরিকল্পনার সঙ্গেও সে জড়িত ছিল।
‘জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ফোরকান রসায়ন বিভাগের পড়ুয়া ছিল। তার সবচেয়ে বড় পরিচিতি ছিল নব্য জেএমবির বোমা তৈরির অন্যতম কারিগর হিসেবে। সে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় হতে রসায়নে অনার্স সম্পন্ন করে। ২০১৬ সালে অনলাইনে ‘হোয়াইট হাউসের মুফতি’ নামে আইডির মাধ্যমে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে নব্য জেএমবির তৎকালীন আমির মুসার হাত ধরে সে এই সংগঠনে যোগদান করে।